রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির

কবি মুহিব খানের কষ্টের কাব্যানুবাদের তাহলে কি হবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।প্রকৌশলী আলী আব্দুল মুনতাকিম।। 

‘আর আমি নবীকে কাব্যরচনা শেখাইনি, আর তা তার জন্য শোভনীয়ও নয়; বরং এ হচ্ছে উপদেশ বানী এবং সুস্পষ্ট পঠিতব্য গ্রন্থ আল কুরআন (সুরা ইয়াসিন: ৬৭)।’

‘আর এটা কবির কাব্যসমগ্র নয়’। (সুরা আল হাক্কাহ)।

ফিকহে হানাফির প্রসিদ্ধ আকর গ্রন্থ মাজমাউল আনহুরে আছে-‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কালামকে তার নিজের কথায় ঠাট্টার ছলে ব্যবহার করে, তাকে কাফের সাব্যস্ত করা হবে। অনুরূপ যে ব্যাক্তি ফার্সি ভাষায় কুরআনের কাব্যানুবাদ করে, তাকেও।’ (মাজমাউল আনহুর: ৬৯৩/১)

বিখ্যাত ফতোয়াগ্রন্থ আলমগীরীতে এসেছে-‘যে ব্যক্তি ফার্সি ভাষায় কুরআনের কাব্যিক অনুবাদ করেছে, তাকে হত্যা করা হবে। কেননা সে কাফের।’ (ফতোয়ায়ে আলমগীরী: ২৬৭/২)। একটু চিন্তা করে দেখুন-কত ভয়ঙ্কর ব্যাপার!

এজন্য হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদে মিল্লাত হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহ.)-এর কাছে কুরআনে কারিমের কাব্যানুবাদের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি কঠোরভাবে নিষেধ করেন।

কথাগুলো একটি জাতীয় দৈনিকে ছাপার কিয়দংশ। মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমি'র উক্ত রেফারেন্সগুলো সহ দীর্ঘ লেখার সাথে একমত না হওয়ার কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া যাবে না।অপরদিকে কবি মুহিব খানের আল- কোরানের কাব্যানুবাদের যে কষ্ট -আন্তরিকতা, তার যে শ্রম ও ডেডিকেশন তাও অস্বীকার করা যাবে না।একটা সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে আমাদের ফেলে দেয়া হলো।মুহিব খানের কাব্যানুবাদ তাফসির আমরা পড়বো কি পড়বো না। কোনটা?

আরও পড়ুন: পবিত্র কুরআনের কাব্যানুবাদ: একটি শরীয়াহ পর্যালোচনা

জাগ্রত কবি মুহিব খান ২০০৪ সালের ১৯ শেষ মার্চ থেকে শুরু করে ২০২১ সালে এসে আল-কোরানের কাব্যানুবাদ লেখা সমাপ্ত করেন।প্রকাশ ও করেন। মূলাত্মক ভাবধারায় বিশুদ্ধ কাব্যানুবাদে তিনি মনোযোগী ছিলেন।কোনো কৃত্তিমতা তাকে স্পর্শ করেনি।যথেষ্ট দরদ দিয়ে তিনি কাজটি করেছেন।দিনের হিসেবে মোট ২৪০ দিন সময় নিয়েছেন।কাজটি শেষ করে বেশ তৃপ্তি সহকারে মহান মালিকের শুকরিয়া আদায় করেছেন।

এখন কাসেমী সাহেবের কথায় আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাই।তিনি জনাব মুহিবের সাথে কথা বলেছিলেন কিনা জানা নাই।তবে জাতীয় পত্রিকায় তার বক্তব্য ছাপা হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি আরেক পর্যায়ে চলে গেলো।সবাই বসে দয়া করে এটা নিরসন করুন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ