আবদুল্লাহ আফফান ও নুরুদ্দীন তাসলিম
বই মেলা থেকে ঘুরে এসে>
রবিউল আওয়াল মাস উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শুরু হয়েছে অর্ধ মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা। গত ১৯ অক্টোবর শুরু হওয়া এই মেলার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও পাঠকের খুব একটা উপস্থিতি ছিল না বলে আক্ষেপ ছিল শুরু থেকেই।
তবে সে আক্ষেপ অভিযোগ ছাপিয়ে নবম দিনে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে ইসলামী বইমেলা। পাঠক লেখকদের পদভারে মুখরিত ছিল আজকের ইসলামী বইমেলার সন্ধ্যা। আজকের দিনে মেলায় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, মাদরাসা পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
আজ সন্ধ্যার বইমেলায় উপস্থিত ছিলেন, শায়খ আহমাদুল্লাহ, আন্তর্জাতিক ক্বারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ, মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বিশিষ্ট আলোচক মাওলানা রাফি বিন মুনীর, ইসলামিক ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞ মুফতি ইউসুফ সুলতান, মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকী, কলরবের জনপ্রিয় নাশীদ শিল্পী বদরুজ্জমান, হাফেজ্জি হুজুর রহ. সেবা সংস্থার পরিচালক মাওলানা রজিবুল হক, মাওলানা ইমতিয়াজ মাহমুদ প্রমুখ।
লেখকদের সামনাসামনি দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন মেলায় আগত প্রায় সব ধরনের পাঠক। বিভিন্ন স্টলের সামনে জটলা বেঁধে অটোগ্রাফসহ লেখকের বই বই পেতে মরিয়া ছিলেন তারা।
কেউ বই কিনছেন আবার কেউ ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। অনেকেই প্রথমবারের মতো এসেছে। ইসলামি বইমেলায় এসে আপ্লুত হয়েছে তারা।
স্টলগুলো ছাড়াও মেলার মাঠে খালি জায়গায় জটলা বেঁধে আড্ডা দিতে দেখা গেছে তরুণ লেখক ও অনুবাদকদের।
লেখক-পাঠকদের সরব উপস্থিতিতে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন প্রকাশকরা। মেলার প্রতিটা সন্ধ্যায় এমন হোক এই কামনাই করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত বছর বইমেলার আয়োজন করা হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীর্ঘ দেড় বছর পর আয়োজিত হয় ইসলামি বইমেলা। রাজধানীর বিভিন্নপ্রান্ত থেকে সাধারণ ক্রেতারা ভিড় করে মেলায়।
উল্লেখ্য, ১৯ অক্টোবর বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমের এই বইমেলা উদ্বোধন হয়। এই বইমেলা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবার মেলায় ৬২টি ইসলামি প্রকাশনা অংশগ্রহণ করেছে।
এটি/ এএ/এনটি