জুলফিকার জাহিদ।।
আগামী ২৭ নভেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর ২৭তম মারকাজি ইজতেমা। এবারের ইজতেমা উপলক্ষে প্রকাশিত হবে মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসানের নতুন বই ‘যাদুস সালেকিন: ইসলাহে নফসের পথ ও পাথেয়’।
বইটি পরিবেশন করবে নুসখা প্রকাশন। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকছে মজলিসে দাওয়াতুল হক।
৩ শতাধিক পৃষ্ঠা বইটির ভাষা বিন্যাস করেছেন রিদওয়ান হাসান।
৮ অধ্যায়ে সন্নিবেশিত বইটি হার্ডকভার ও পেপারব্যাক ভার্সনে বের হবে।
প্রতি অধ্যায়ে যা থাকছে:
প্রথম অধ্যায় : আত্মশুদ্ধি কেন করবো?
দ্বিতীয় অধ্যায় : মানুষের বদ আমল ও খারাপ গুণ।
তৃতীয় অধ্যায় : মানুষের নেক আমল ও উত্তম গুণ।
চতুর্থ অধ্যায় : ইখলাস ও নিয়তের বিশুদ্ধতার গুরুত্ব।
পঞ্চম অধ্যায় : আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।
ষষ্ট অধ্যায় : ইসলাহে নফস ও সোহবতের গুরুত্ব।
সপ্তম অধ্যায় : সুন্নতের আলোকিত পথ।
অষ্টম অধ্যায় : ওযিফাতুস সালেকিন।
বইটি সম্পর্কে যা বলেছেন মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান :
বইটি সম্পর্কে মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান বলেছেন, ‘শারীরিক ব্যাধির চিকিৎসায় যেমন ডাক্তার প্রয়োজন, তেমন আত্মিক ব্যাধির আরোগ্যেও প্রয়োজন চিকিৎসক। নফস মানুষের চিরশত্রু। যারা নফসকে পরাস্ত করার কৌশল রপ্ত করেছেন, তাদের দিক-নির্দেশনা অনুসরণ ও সাহচর্য অবলম্বন করলে ধীরে ধীরে নিজ নফসও দূর্বল হয়ে পড়ে। এটিই আত্মশুদ্ধির মূল কথা। এ কারণেই আল্লাহওয়ালাগণ সোহবতে সালেহ ও বায়আতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে থাকেন’।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকাল উলামা-তালাবার মধ্যে আত্মশুদ্ধি ও সোহবতে সালেহের গুরুত্ব দিন-কে-দিন কমছে। মাদরাসাগুলোতে ইলমের চর্চা ব্যাপকভাবে হলেও সে অনুপাতে হয় না ইসলাহে কলবের চর্চা। ফলে একদিকে যেমন ফারেগীন ছাত্রদের আমলি হালত কাঙ্ক্ষিত মানের না হওয়ায় সমাজের মানুষ তাদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হচ্ছে, অন্যদিকে মাদরাসার অভ্যন্তরীন পরিবেশ থেকেও ক্রমশ রুহানিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে দুর্নামের বোঝা চাপছে নির্বিশেষে সকল আলেমের ওপর, এমনকি স্বয়ং ইলমে দ্বীনের ওপর। এ অবস্থা থেকে আশু উত্তরণ না ঘটলে এ অঞ্চলের দ্বীনি মাদারেস ও ওলামায়ে কেরামের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর শঙ্কা রয়েছে’।
‘উলামা-তলাবাসহ সর্বশ্রেণির মুসলমান ভাইবোনের প্রয়োজন সামনে রেখে ‘যাদুস সালেকিন : ইসলাহে নফসের পথ ও পাথেয়’ গ্রন্থটি রচিত হয়েছে। এতে আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব ও তার পথ-পন্থা সম্পর্কে অল্পবিস্তর আলোকপাত করা হয়েছে। নফসের হামলা থেকে কেউ-ই নিরাপদ নয়। নফসের কখনও সম্পূর্ণ মৃত্যু হয় না, সাধনার ফলে সে সাময়িক নিস্ক্রীয় হয় মাত্র। কাজেই পীর ও মুরিদ সকলেরই নফসের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে’।- বইয়ের ভূমিকায় এসব বলেন মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান।
আরো পড়ুন: ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দাওয়াতুল হকের মারকাজি ইজতেমাে
এনটি