শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
৫ বছর আগের এই দিনে কী হয়েছিল মাওলানা আনসারীর জানাজায়? হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত অন্তত ৩৮

তাহাজ্জুদ পড়া অবস্থায় ফজরের আজান দিয়ে দিলে এই নামাজের বিধান কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন:

মুহতারাম! আমি সাধারণত তাহাজ্জুদের নামায পড়ার চেষ্টা করি। কয়েকদিন আগে ঘড়ি না দেখে তাহাজ্জুদের সময় আছে মনে করে দুই রাকাত নামায শুরু করি এবং ছানাও পড়ে ফেলি। ঠিক তখন ফজরের আযান শুনতে পাই। তখন আমি ঐ নামায পূর্ণ করি। আমার এই নামাযের কী হুকুম?

উল্লেখ্য, আমি পরে দুই রাকাত নামায ফজরের সুন্নতের নিয়তে পড়ে নিয়েছিলাম।

উত্তর:

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি উক্ত মুাআযযিন ওয়াক্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পর আযান দিয়ে থাকেন, তাহলে ধরে নেয়া যায় যে, আপনি ঐ দুই রাকাত নামায ফজরের ওয়াক্ত হবার পর আদায় করেছেন। তাই তা ফজরের সুন্নত হিসেবে আদায় হয়েছে। তাহাজ্জুদ হয়নি। সুতরাং এক্ষেত্রে নতুন করে আবার ফজরের সুন্নত পড়া ঠিক হয়নি। আর যদি ঐ মুআযযিন সময় হওয়ার সাথে সাথেই আযান দিয়ে থাকেন তাহলে সময়ের পূর্বে আরম্ভ করায় তা নফল হিসেবেই আদায় হয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য পৃথকভাবে সুন্নত পড়া সহীহ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর ফজরের সুন্নত ব্যতীত অন্য কোনো নফল বা সুন্নত নামায পড়া নিষেধ। সুতরাং শেষ সময়ে তাহজ্জুদে দঁড়ালে সময়ের প্রতি খেয়াল করে দাঁড়াবে।

-আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/১০৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১২; ফাতহুল কাদীর ৩/১৮৭; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৪০২; আননাহরুল ফায়েক ১/২৯৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৫

উত্তর প্রদানে: ফতোয়া বিভাগ মারকাযুদ্দাওয়া আল ইসলামিয়া ঢাকা।

এনটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ