মাহমুদুল হাসান ও আদিয়াত হাসান
সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাহফিলের একটি ভিডিওচিত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি গত ৮ অক্টোবর (শুক্রবার) বল্লভদী আল ইসলাহ একাডেমি ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা আড়াইহাজার নারায়ণগঞ্জ এর ১৫ তম বার্ষিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের।
মাহফিলটিকে ওয়ায়েজদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মুফতি সাঈদ আহমাদ, মাওলানা বাদরুজ্জামান, মাওলানা উবাইদুর রহমান হুজাইফিসহ বেশকিছু তরুণ আলোচক। এছাড়া কারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কারী সাইদুল ইসলাম আসাদ, হাফেজ নাজমুস সাকিব ও শিশু কারী আবু রায়হান।
আলোচিত ভিডিওতে দেখা যায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে তিলাওয়াত করছেন বিশ্বজয়ী হাফেজ নাজমুস সাকিব। তিলাওয়াতরত অবস্থায় তিলাওয়াতকারীর মাথায় টাকা দিচ্ছে মঞ্চে উপস্থিত শ্রোতাদের একজন। ভিডিওর সুত্র ধরে জানা যায় তিনি বল্লভদী আল ইসলাহ একাডেমি ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার পরিচালক মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা। বিষয়টি অনলাইন ও অফলাইনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
কাতার ধর্মমন্ত্রনালয়ের ইমাম আব্দুল্লাহ ইসমাইল আল ইসলাহ একাডেমি ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ওই ভিডিওচিত্র বিষয়ে তার ফেসবুকে লিখেন-
‘আহ আফসুস! কোরআন তেলাওয়াতের কি অবস্হা হয়েছে, তেলাওয়াতের নূর তখনই চলে যায় যখন নিজেকে অন্যদের থেকে দামী বা অন্য কিছু ভাবা শুরু হয়। ১০ টাকার নোট ছিটিয়ে পিছনের লোকটাই কি বুঝাতে চাইতেছে জানা নাই, তবে আমার মনে হচ্ছে এখানের সবাই কালামুল্লাহকে অপমান করেছে। আল্লাহ নাজমুস সাকিবসহ এখানের সবাইকে সহিহ্ বুঝ দান করুন আমিন।’
শাবীব তাশফি নামের একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন- ‘...এই ভিডিওটা ইতিমধ্যে অনেক বড় উলামায়ে কেরাম দেখেছেন। তারা শুধু এটার সমালোচনাই করে ক্ষান্ত হননি, প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। তিলাওয়াতের সময় এভাবে টাকা ছিটানো শুধু অনুচিতই নয়, বরং কুরআনের সাথে চরম বেয়াদবি।
এছাড়াও বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম বিষয়টিকে সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখছেন। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, এসব বিষয় হঠাৎ করেই ঘটছে না। আগেও এ ধারার এমন ছোট ছোট বিষয় ঘটেছে। কিন্তু ওলামায়ে কেরাম এ বিষয়ে সচেতন ভূমিকা না রাখায় এসব ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলছে। তাই এখনই এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আর না হয় আমাদেরকে চরম ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।
-কেএল