।।কাউসার লাবীব।।
সম্প্রতি খুলনার অসীম নামে এক ব্যক্তি বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রী ইশরাতকে উপহার হিসেবে চাঁদে জমি কিনে দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন। নেট দুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে খবরটি! অসীমের দেখাদেখি নেটিজেনদের অনেকেই নিজের নামে কিংবা স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
এতো আলোচনার ভিড়ে একটি প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই আসে, আর তা হলো- চাঁদে কি আসলেই জমি কেনা যায় নাকি সবটাই মিথ্যা! আর যদি সত্যিই কেনা যায়, তাহলে সেটা শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা বৈধ? এই বেচা-কেনাকে ইসলাম সমর্থণ করে তো? নাকি শখের বসে মানুষজন হারাম কেনা-কাটায় ঝুঁকছে?
প্রথম কথা হচ্ছে- চাঁদে জমি কেনা যায়। শুধু চাঁদে নয়, চাইলে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহেও আপনি জমি কিনতে পারবেন। তবে সেই জমি হবে শুধুই কাগজে-কলমে। এ জন্য প্রথমে আপনাকে লুনার অ্যাম্বাসি ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এই ওয়েব সাইটটির নির্মাতা ডেনিস হোপ।
ওয়েবসাইটে গিয়ে জমি কেনার জন্য আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেখানে কতটুকু জমি কিনবেন, কোন অংশে কিনবেনসহ কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর ডিজিটাল গেটওয়ে ব্যবহার করে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। চাঁদে এক একর জমি কিনতে অবস্থান ভেদে ২৪ ডলার থেকে ৫ শ ডলার পর্যন্ত দাম পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ আপনি চাঁদের কোন অংশে জমি কিনছেন তার ওপর ভিত্তি করে অর্থের পরিমাণের হেরফের হয়।
অর্থ পরিশোধের পর ই-মেইলের মাধ্যমে চাঁদের যে অংশটি আপনি কিনলেন তার একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমি কেনার কাগজপত্র অর্থাৎ জমি কেনার পর ক্রেতার সঙ্গে বিক্রয় চুক্তি, জমির ভৌগলিক অবস্থান ও মৌজা-পরচার মতো আইনি নথি আপনি পাবেন। কেউ যদি আরো একটু ব্যয় করতে রাজি থাকে, তাহলে তাদের জন্য চাঁদের সম্পূর্ণ মানচিত্র এবং অন্যান্য তথ্যও সরবরাহ করা হয়।
এখন প্রশ্ন হলো কে এই ডেনিস হোপ? তারচেয়েও বড় কথা তিনি এভাবে জমি বিক্রি করতে পারেন কিনা? বিশেষ করে যেখানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা একটি চুক্তিতে বলা হয়েছে- পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যে, চাঁদ এবং অন্যান্য যেসব বস্তু রয়েছে সেগুলো কোনো দেশ দখল বা নিজেদের একক সম্পত্তি দাবি করতে পারবে না। ১৯৬৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ‘দ্য আউটার স্পেস ট্রিটি’ নামক এই আন্তর্জাতিক চুক্তি করে সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত ১১০টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
এ দিকে ১৯৭৯ সালে চাঁদ এবং মহাশূন্যের অন্যান্য বস্তুতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সমঝোতা প্রস্তাব আনে জাতিসংঘ। এই প্রস্তাবটি ‘মুন এগ্রিমেন্ট’ নামে পরিচিত। এর মূল বিষয় হলো, চাঁদ এবং এর যে কোনো প্রাকৃতিক সম্পত্তিতে মানব সভ্যতার সবার সমান অধিকার থাকবে। সমস্যা হলো যুক্তরাজ্য, চীন এবং রাশিয়ার মতো মহাকাশ গবেষণার প্রধান দেশগুলো চুক্তিটি সমর্থন করেনি। এই চুক্তির ফাঁক কাজে লাগিয়ে চাঁদে জমি বিক্রি করছেন ডেনিস হোপ। তারই প্রতিষ্ঠান লুনার এম্বেসি কমিশন। এ ছাড়াও দ্য লুনার রেজিস্ট্রি এবং লুনার ল্যান্ডসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠান চাঁদে জমি বিক্রির অফার দিচ্ছে।
ডেনিস হোপ মার্কিন নাগরিক। পেশায় খণ্ডকালীন গাড়ি বিক্রেতা। তিনি ১৯৮০ সাল থেকে নিজেকে চাঁদ এবং সৌর জগতের সব গ্রহের মালিক দাবি করে আসছেন। হোপসহ বেশ কিছু চক্র অনলাইনে চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহের জমি বিক্রির নাম করে পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের মিথ্যা প্রলোভন ও চটকদার কথাবার্তায় মজে কিছু মানুষ চাঁদে জমি কিনতে গিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকিতে পড়ছেন। খোয়াচ্ছেন মোটা অঙ্কের অর্থ।
শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদে জমি বেচা-কেনার বিধান: যেসব ব্যবসা বা কেনা-বেচায় কোনো ধোঁকার সম্ভাবনা থাকে; সেসব ব্যবসা ও কেনা-বেচা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। এমনকি নবী করিম সা. ধোঁকাবাজদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, ‘যে আমাদের সাথে ধোঁকাবাজী করে সে আমার উম্মতভুক্ত নয়। ’ -সহিহ মুসলিম
আর মুমিনগণ যেন সবসময় ধোঁকাবাজদের থেকে সাবধান থাকেন সে বিষয়ে সতর্ক করে নবী করিম সা. বলেন, ‘কোনো মুমিনের জন্য উচিত নয় নিজেকে অপমানিত করা।’ একথা শুনে সাহাবারা বললেন, কিভাবে মুমিন নিজেকে অপমানিত করে? তিনি বললেন, অনুচিত বিপদে নিজেকে জড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে। ’ – তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ
এসব দিক বিবেচনায় কোনো ভাবেই চাঁদে জমি কেনার প্রচলিত ধারা বৈধ নয়। বিষয়টি আরো স্পষ্ট হওয়া যায় দেশের প্রথিতযশা একজন ইসলামিক স্কলারের বক্তব্য থেকে।
শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদে জমি কেনাবেচা জায়েজ নেই বলে জানিয়েছেন দেশের প্রথিতযশা ইসলামিক স্কলার ড. আল্লামা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।
তিনি বলেন, ইসলাম এমন কোনো বেচাকেনাকে বৈধতা দেয়নি; যার মধ্যে ধোঁকার সম্ভাবনা আছে। আর চাঁদে জমি কেনার মধ্যে বলা যায় পুরোটাই ধোঁকা। কেননা সেখানে কোথায় জমি কিনছে? প্রয়োজনীয় বৈধ নকশা অনুযায়ী আসল মালিকের দলিল প্রদান কোনোটাই এতে নেই। যিনি চাঁদের জমি বিক্রি করছেন; তিনি কীভাবে এর মালিক হলেন?
উল্লিখিত সব বিষয় মিলিয়ে এটি একটি ধোঁকা। আর এমনসব ধোঁকার বিষয় থেকে দেশের ওলামায়ে কেরাম মানুষজনকে অনেক আগে থেকেই সচেতন করে আসছেন। চাঁদে জমি কেনা সেসব ধোঁকার একটি নতুন অধ্যায়।- বলেন, ড. আল্লামা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।
চাঁদে কি আসলেই কেউ জমি বেচার অধিকার রাখে: সেই ১৯৬৯ সালে নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন চাঁদের বুকে অবতরণ করেন। চাঁদের বুকে সেবারই প্রথম মানুষের পদচিহ্ন পড়েছিল। তারপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আরও কয়েকটি অভিযানে মানুষ চাঁদের বুকে অবতরণ করেছিল। কিন্তু ১৯৭২ সালের পর থেকে আর কোনো মানুষ চাঁদে অবতরণ করেনি। তবে সেই পরিস্থিতি বুঝি দ্রুতই শেষ হতে চলেছে। চীন বেশ কয়েক বছর ধরেই চাঁদের পানে হাত বাড়িয়ে চলেছে। ২০১৩, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে চীন চাঁদে সফলভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছে। চাঁদের দিকে নজর আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও জাপানেরও।
সেই স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা যখন চাঁদের বুকে প্রথম মনুষ্যবাহী যান পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল, তখন জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য ‘আউটার স্পেস ট্রিটি’ নামের এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
ওই চুক্তিতে বলা হয়, কোনো নির্দিষ্ট দেশ চাঁদসহ মহাকাশের অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহের সার্বভৌমত্ব বা মালিকানা দাবি কিংবা কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ১১১টি দেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
চুক্তিটিকে মহাকাশের ‘ম্যাগনাকার্টা’ হিসেবে অভিহিত করেন অনেকে। এই চুক্তির কারণেই চাঁদের বুকে পতাকা উড়িয়েই যে কেউ এর মালিকানা দাবি করতে পারে না। কিন্তু ১৯৬৭ সালের চুক্তিতে চাঁদের ভূমির ওপর ব্যক্তিগত ও করপোরেট অধিকার নিয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে আসলেই যদি ধনী কোনো ব্যক্তি চাঁদের বুকে একখণ্ড জমি কিনতে চায়, তার বেলায় কী হবে, সেটি অস্পষ্ট থেকে যায়। এখানে আইন বিশেষজ্ঞরা দুই রকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, সম্পত্তির অধিকার দাবি করতে হলে সেই সম্পত্তি হতে হবে কোনো নির্দিষ্ট দেশের সীমানার ভেতরে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সম্পত্তির অধিকার এবং সার্বভৌমত্ব কোনো ভৌগোলিক সীমানার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
১৯৬৯ সালে চাঁদের মালিকানা এবং খননস্বত্ব খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু প্রযুক্তি যতই উন্নত হচ্ছে, চাঁদ ততই মানুষের নাগালের মধ্যে আসছে আর এসবের গুরুত্ব ততই বাড়ছে। ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে ‘মুন অ্যাগ্রিমেন্ট’ নামে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে বলা হয়, পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটিকে শুধু বিশ্ববাসীর শান্তির স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে এবং চাঁদে যদি কেউ কোনো স্টেশন স্থাপন করতে চায়, তাহলেও জাতিসংঘকে আগে জানাতে হবে।
মুন অ্যাগ্রিমেন্টে বলা হয়, ‘চাঁদ এবং এর প্রাকৃতিক সম্পদের সাধারণ উত্তরাধিকার সমগ্র মানবজাতি’ এবং কেউ যদি এসব সম্পদের অপব্যবহার করে, তাহলে তা প্রতিহত করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক শাসনব্যবস্থা তৈরি করা হবে। মুন অ্যাগ্রিমেন্টে যেহেতু চাঁদের উত্তরাধিকার হিসেবে ‘সমগ্র মানবজাতির’ কথা বলা হয়েছে, তাই অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে চাঁদে ব্যক্তিগত ও করপোরেট মালিকানা নিষিদ্ধ।
ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, চাঁদের কোনো খনিজ সম্পদের উত্তোলন এবং রক্ষণাবেক্ষণ একটি স্পেস ওয়াচডগ বা নিয়ন্ত্রকের অধীনে হতে হবে এবং এ থেকে যা লাভ হবে, তার একটা অংশ তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দেওয়া হবে। এই চুক্তিতে চাঁদে কোনো ধরনের অস্ত্র পরীক্ষাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ‘কমার্শিয়াল স্পেস লঞ্চ কমপিটিটিভনেস অ্যাক্ট’ নামের এক আইন পাস করে। যার ফলে মার্কিন নাগরিকেরা মহাকাশের এমন যেকোনো কিছুর মালিকানা নিতে পারবে, যেখানে তারা পানি এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদের জন্য খননকার্য পরিচালনা করতে পারবে।
কিন্তু এই চুক্তির দুর্বলতা হচ্ছে, মাত্র ১১টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষরকারী দেশের তালিকায় আছে ফ্রান্স এবং ভারত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো এই চুক্তিকে অনুমোদন দেয়নি। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার প্রথম দিকে মুন অ্যাগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করবেন ভাবা হলেও চুক্তির ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তিনি আর স্বাক্ষর করেননি। কিন্তু চাঁদের মতো অন্য গ্রহ-উপগ্রহগুলো রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানায় যাওয়া ঠেকাতে যে চুক্তিগুলো বর্তমানে কার্যকর আছে, সেগুলো কয়েক বছর ধরেই হুমকির মুখে পড়েছে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ‘কমার্শিয়াল স্পেস লঞ্চ কমপিটিটিভনেস অ্যাক্ট’ নামের এক আইন পাস করে। যার ফলে মার্কিন নাগরিকেরা মহাকাশের এমন যেকোনো কিছুর মালিকানা নিতে পারবে, যেখানে তারা পানি এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদের জন্য খননকার্য পরিচালনা করতে পারবে। এই আইনের কারণে মার্কিন নাগরিকেরা মূলত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মহাকাশকে ব্যবহারের অনুমতি পায়। যদিও চাঁদকে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে চাঁদও যে এমন কোনো আইনের অন্তর্ভুক্ত হবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
২০১৭ সালে লুক্সেমবার্গও একই রকম একটি আইন প্রণয়ন করেছে। যেখানে সে দেশের নাগরিকদের মহাকাশে থাকা সম্পদের ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠার সুযোগ রাখা হয়েছে। দেশটির তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী এতিয়েন স্নাইডার আইনটি সম্পর্কে বলেছিলেন, এটি তাঁর দেশকে এই খাতে ইউরোপের মধ্যে পথপ্রদর্শকে পরিণত করল।
তাহলে শেষ কথা কী দাঁড়াল? জাতিসংঘের ‘আউটার স্পেস ট্রিটি’ চুক্তি অনুযায়ী, চাঁদে কেউ জমি কিনতে পারে না। তবে কিছু দেশের নাগরিক আইন বা চুক্তির ফাঁকফোকর বের করে চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহ–উপগ্রহে জমি বিক্রির নাম করে পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। যাঁরা কিনছেন, তাঁরা আসলে প্যাকেটভর্তি বাতাসই কিনছেন!
-কেএল