সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে যাদুকরী ঘরোয়া উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক :  ব্লাড সুগার বা গ্লুকোজ হলো রক্তের প্রধান চিনি। ডায়াবেটিস হলে রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। আমরা যে খাবারি খাই না কেন তার থেকে গ্লুকোজ পেয়ে থাকি। এই চিনি, শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং শরীরের অঙ্গ, পেশী এবং স্নায়ুতন্ত্রের পুষ্টি সরবরাহ করে।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনতে খাবারের তালিকায় খেয়াল রাখা সবচে বেশি প্রয়োজন । খাবারের পাশাপাশি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি সুগার নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।

ব্লাড সুগার কমানোর জন্য হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য নিয়মিত ২৫-৩০ মিনিট হাঁটলে সুগার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে আপনার ব্লাড সুগার সুস্থ সীমায় থাকতে সহায়তা করবে। সুগারের রোগীদের শরীর হাইড্রেট রাখা প্রয়োজন। আর তা সম্ভব পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের মাধ্যমে।

মিষ্টিযুক্ত খাবার ত্যাগ করুন।  সুগারের রোগীদের একদমই মিষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত চিনি। চিনি ব্লাড সুগারের লেভেল হাই করে দেয়।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে ব্লাড সুগারের ওপর প্রভাব পড়ে। ডাক্তারদের মতে, হাই সুগারের অন্যতম কারণ অতিরিক্ত টেনশন। অতিরিক্ত টেনশন করলে শরীরে চাপ পড়ে এবং হরমোনগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করুন।

সুগারের আক্রান্ত রোগীদের অতিরিক্ত ভাত খাওয়া ভালো নয়। অতিরিক্ত পরিমাণ ভাতের পরিবর্তে পেট ভর্তি রাখতে বেশি করে সবজি খান। এছাড়াও খাবারের তালিকায় ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। বার্লি, ভুট্টা, ওটমিল, ব্রাউন রাইস, বাজরা ইত্যাদি শস্য জাতীয় খাদ্য সুগারের রোগীদের খাবারের তালিকায় রাখা উচিত।

চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টিতে উচ্চ পরিমাণে পলিফেনল পাওয়া যায়। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

ব্লাড সুগার কমানোর জন্য মেথির বীজ খাবেন। মেথির বীজ ফাইবারের একটি বড় উৎস, যা রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা যায়, মেথির বীজ সুগারের রক্তচাপ কমিয়ে আনতে সক্ষম।

অতিরিক্ত চাপের কারণে সুগার হাই হয়ে যায়। নিজের সুগার নিয়ন্ত্রণে শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক ঘুম এবং বিশ্রামের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দেহের ক্লান্তি এবং চাপ দূর করতে সক্ষম।

-এ ডব্লিউ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ