জুলফিকার জাহিদ।।
মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আবিষ্কার করেছেন যে সব সময় কাজের চাপে থাকা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি অনেক বেশি অবসরও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কারণ এতে স্নায়ুর ওপর ক্রমাগত ভাবে চাপ পড়ে।
জার্নাল অব পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজির সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রকাশিত এই গবেষণাটি পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিসা শরীফ লিখেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা কোন ধরনের ব্যস্ততায় বা কাজে না থাকা মানুষদের মাঝে অহেতুক চিন্তা-ভাবনা জন্ম নেয়, যা সময়ের সাথে সাথে তীব্র হতে থাকে, এসবের কারণে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে থাকে।
চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী ও নানা পেশার মার্কিন নাগরিকদের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে বলে প্রবন্ধে জানানো হয়েছে।
২১ হাজার ৭৩০ জন পেশাজীবী ও বেকার মার্কিন নাগরিকের উপর একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল।
এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল প্রতিদিন সবথেকে কম সময় অর্থাৎ ১৫ মিনিট এবং মোটামুটি সময় সাড়ে তিন ঘন্টা এবং অনেক বেশি সময় অর্থাৎ৭ ঘণ্টা কোন কাজে ব্যস্ত না থাকা মানুষদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে। জানা
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যারা অনেক বেশি কাজে ব্যস্ত থাকে এবং অবসর সময় কম পান তারা গুরুতর স্নায়বিক চাপে ভুগতে পারেন এবং এর প্রভাব তাদের স্বাস্থ্যের উপরে পড়ে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, যারা দিনের বেশিরভাগ সময় অবসর থাকেন তারাও এ সমস্যার শিকার। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, দিনের অধিকাংশ সময় অবসর থাকার কারণে তারা নিজেদের বেকার ভাবতে শুরু করেন। ধারাবাহিক এমন চিন্তা ভাবনার কারণে এমন লোকদের স্নায়ুবিক চাপ বাড়তে থাকে এবং এর প্রভাব স্বাস্থ্যের উপরে পড়ে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা অবসর সময়ে বিভিন্ন কাজ, ব্যায়াম ও শখ পূরণে সময় ব্যয় করেন তাদের মাঝে এই সমস্যার সম্ভাবনা পাওয়া যায় না।
মারিসা শরীফ বলেছেন, এই গবেষণা প্রমাণ করে শুধু অনেক বেশি ব্যস্ততা নয় বরং প্রয়োজনের বেশি অবসর সময় কাটানোও মানুষের শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক। যদিওবা এর প্রভাব সে ভাবে বুঝা যায় না; যতটা মানুষ কোন কাজে ব্যস্ত থাকলে-এর প্রভাব তার শরীরে পরে। কিন্তু সাধারণভাবে বেশি সময় অবসর কাটালেও এর ক্ষতিও তেমনই হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, এজন্য উত্তম হলো আমাদের হাতে অনেক বেশি সময় থাকলে তা ফালতু ও অহেতুক কাজে ব্যয় না করে ভালো ও ইতিবাচক কাজে ব্যয় করা।
এনটি