মাসউদুল কাদির।। মিহি মিহি করে কথা বলতেন মাওলানা ইসহাক ওবাইদী। আমি লেখা চাইতাম, তিনি এতটা সম্মানের সঙ্গে কথা বলতেন, অবাক বিস্ময়ে শুনতাম। নিজে তার প্রচুর হাতের লেখা আমি টাইপও করেছি। পত্রিকায় ছেপেছি। তাকে জানার জন্য আমাদের প্রিয় শাকের হোসাইন শিবলি ভাই সহযোগিতা করেছেন।
তাকে নানাভাবে তুলে এনেছেন। দুর্দান্ত লেখনীসত্ত্বার শক্তিশালী প্লাটফরমে অবস্থান ছিলো তাঁর। তিনি সময়কে যেমন দেখেছিলেন, জেনেছিলেন- তার সময়কার অন্য পাঁচজন নিশ্চয়ই অতটা জানতেন বা জানেন না। রাজনীতি থেকে শুরু সংবাদ, সংগীত থেকে সাংবাদিকতা-সব জায়গায় ছিলো তার দখল।
বাংলাদেশে টেলিভিশনে তার লেখা সংগীত গেয়েছেন দেশের বরেণ্য শিল্পীরা। আজকের তরুণরা হয়তো তাকে সেভাবে না-ই জানতে পারে।
রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক রাহবার মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ.কে সহযোগিতা করেছিলেন। মিডিয়ার দায়িত্ব পালন করে পৃথিবীর মানুষকে তিনি জানবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
আরবি একটা প্রবাদ আছে, কুল্লু সাইয়িন ইয়ারজিউ ইলা আসলিহি- প্রত্যক বস্তু মূলের দিকে ধাবমান। তিনি প্রকৃত মূল ধারার ইলম অর্জন করেছিলেন সত্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় এসে সেই ঈদ কার্ড বিক্রি থেকে শুরু নানা জায়গায় সম্মানজনক অনেক পেশায় কাজ করে শেষে মাদরাসায় ফিরেছিলেন।
বাংলাদেশ বেতারে তিনি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় দিয়েছেন। এরপরও তিনি ফিরতে পেরেছেন মূলের কাছে। শেষ সময়টা কাটিয়েছেন তালেবুল ইলমদের সেবায়। তিনি আমাদের জন্য একটা বার্তা দিয়ে গেছেন। পথ চিনিয়ে গেছেন। মহান আল্লাহ তাআলা তার কবরকে সুন্দর রাখুন। জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদ দান করুন। আমীন
-এটি