আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পিরিয়ডের সময় এলেই সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে ব্যথা নিয়ে। অনেকেই আবার ভোগেন ডিসমেনোরিয়ায়। তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে কোমর ও পা পর্যন্ত। এমনকি স্তনেও ব্যথা হয় অনেকের।
রক্তক্ষরণের চেয়ে এই ব্যথা কাবু করে দেয় নারীদের। আবার একেক জনের ব্যথার ধরণ একেক রকম হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা সহনীয় হয় আবার অনেকের সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। সেক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময়ে কয়েকটি খাবার খেলে অনেকটা সুস্থ থাকা সম্ভব।
পুদিনা ও দারুচিনির চা: ওষুধি গুণে ভরা পুদিনা পাতায় মেনথল রয়েছে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া দারুচিনি রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমাতে পারে।
লেবু ও আদা: লেবু ক্যালসিয়াম ভরপুর, থাকে ম্যাগনেসিয়ামও। যা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারে। একইসঙ্গে আদা ব্যথা কমাতে দারুণ ওস্তাদ। পানি ফুটিয়ে এর মধ্যে আদা ও লেবুর রস দিন। সপ্তাহে দুই-একবার খেলে পিরিয়ডের সময়ে ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করবে। একইসঙ্গে শরীরও ডিটক্সিফাই হয়।
ডার্ক চকলেট: পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে ডার্ক চকলেটে। যা ব্যথা কমায়। এছাড়া চকলেট ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ায়।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতেও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। অ্যাভোকাডো অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। ম্যাগনেসিয়াম পেশী শিথিল করে ব্যথা কমাতে পারে। ডার্ক চকলেট ও অ্যাভোকাডো আলাদা খেতে পারেন আবার একসঙ্গে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
পালংশাক: একসঙ্গে স্যালমন ও পালং শাক শুনে অদ্ভুত মনে হলেও দুইটির মিশ্রণ শরীরের জন্য অনেক উপকারী। স্যালমনে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা প্রদাহ ও পিরিয়ডের ব্যথা কমায়। পালং শাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়ামসহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। একসঙ্গে পালংশাক ও স্যালমন পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
কলা ও আনারস: কলাতে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ থাকায় কলা পেট ফোলাভাব কমায় এবং ব্যথা কমায়। আনারস প্রদাহ কমায়। আর কিউই প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে। কিউই আপনি যেভাবে ইচ্ছা খেতে পারেন। চাইলে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন। মাসের এ সময়টাতে হাইড্রেট থাকার ওপর জোর দিতে হবে। এছাড়া বেশি করে পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে বিভিন্ন ফলের জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া দিনের কাজ কর্ম গুছিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন।
ভদ্রাসন: মাসিক বা ঋতু সংক্রান্ত যত ধরনের রোগ রয়েছে প্রতিটির জন্যেই এ আসন অত্যন্ত উপকারী। অর্থাৎ আমাদের শরীরে যে জননগ্রন্থি আছে তাকে সুস্থ রাখার জন্যে এ আসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভদ্রাসন। প্রতিদিন চেষ্টা করুন ভদ্রাসন করতে। ভদ্রাসন হলো এক ধরনের যোগাসন। দুই পায়ের পাতা ও গোড়ালি পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে সামনের দিকে রাখুন। চেষ্টা করবেন যেন গোড়ালির পেছনের অংশ মূত্রেন্দ্রিয় এবং পায়ুর মধ্যবর্তী অংশে লেগে থাকে। দুই হাঁটু মাটির সঙ্গে লাগানোর চেষ্টা করবেন। দুই হাত দিয়ে পায়ের আঙুলগুলো একসঙ্গে ধরে রাখতে পারেন বা হাত জ্ঞান মুদ্রার স্থিতিতে দুই হাঁটুর ওপরে রাখুন। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন।
-কেএল