আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: খালি পেটে পানি পানের ফলে আমাদের দেহে রক্ত উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং নতুন রক্তের কোষ গঠিত হয়, একইভাবে দেহের মাংসপেশীর কোষ গঠনে সহায়তা করে এই অভ্যাসটি।
শরীরের নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে সারা দিনে কম পানি পান করলে নানারকম পেটের রোগ হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। মুখে কালচে ছোপ পড়ে, ব্রণ দেখা দিতে পারে। চোখের তলায় কালি পড়তে পারে। তাই চেষ্টা করুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পানি পান করতে।
কারণ খালি পেটে পানি পান করলে সারা রাতে আমাদের মুখে যে সব ব্যাক্টেরিয়া বা টক্সিন জন্মায় যা মূত্রনালি দিয়ে বেরিয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অম্বলের মতো পেটের রোগ নিরাময় হয়।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, পানি পানের মাত্রাও। শরীরের নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি পানি পান করলে উল্টো ফল হতে পারে। যেমন ত্বক বেশি সাদাটে হয়ে যেতে পারে। এবং বেশি পানি পানের ফলে বেশি মূত্র ত্যাগ করতে হওয়ায় শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। যার ফলে আরও বেশি অবসন্ন হয়ে পড়তে পারেন। তাই পানি পানের মাত্রা সবসময় নির্দিষ্ট রাখার চেষ্টা করুন।
খালি পেটে পানি পান শরীরের পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি সাধন করে বাড়তি ওজন কমায়। ঘুম থেকে ওঠার পর দৈনিক ৩-৪ গ্লাস পানি শরীরের রিহাইড্রেশনের জন্যও দরকার। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি স্মরণশক্তি বাড়াতে ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি খেলে তা হজমে সাহায্য করবে। গরম পানি খাদ্য উপাদানকে ভাঙতে সাহায্য করে। এভাবে হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি হয়। পানি শরীরের বর্জ্য বের করে লিভার পরিষ্কার রাখে। শরীরের তাপমাত্রা রক্ষায়, সংবেদনশীল টিস্যু সুরক্ষাসহ বহু কারণে পানি দরকার। দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা অত্যাবশকীয়।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানি ও ওজন কমার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। বর্জ্য বের করতে পানি কিডনিকে সাহায্য করে। পানি খেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বর্জ্য বের হয়ে যায়।
নাশতা করার আগে পানি পান করলে ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে। পানি পানের কারণে পেট ভরা অনুভব হয়, এতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ হয় না। সকালে নাশতা খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করুন।
খালি পেটে পানি শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে। শরীরের লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে উন্নত করে এবং শরীরের তরলে ভারসাম্য আনে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বর্জ্য ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে পানি, যা থেকে সংক্রমণ ও অসুস্থতা হয়।
-কেএল