শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
৫ বছর আগের এই দিনে কী হয়েছিল মাওলানা আনসারীর জানাজায়? হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত অন্তত ৩৮

পরিণত বয়সেও পরিবার বিয়ে করাতে চাইছে না, এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আজকের ফতোয়া ডেস্ক: পরিনত বয়সে উপনীত হয়েছেন, জীবনসঙ্গী খুঁজছেন, অথচ পরিবার থেকে বিয়ে করাতে চাইছে না, এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন? অথবা পরিণত বয়সে উপনীত হওয়ার পরেও সন্তানকে বিয়ে-শাদী করাতে গরমসি করতে থাকা অভিভাবকদের ব্যাপারে শরীয়তের অবস্থান কি?

এ বিষয়ে দেওবন্দের অনলাইন ফতোয়া সাইটে জানতে চেয়ে একজন প্রশ্ন করেছেন, আমার বাসার লোকজন আমাকে বিয়ে করাতে চাইছেন না। দেওবন্দের ফতোয়া সাইটের প্রশ্নকারী নিজের অবস্থা বুঝাতে গিয়ে বলেন, বর্তমানে আমার অবস্থা এমন যে আমার বাবা-মা আমাকে বিয়ে না করালে- এর থেকে আত্মহত্যা করাই আমার জন্য উত্তম বলে মনে হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমার কি করা উচিত এবং সন্তান পরিণত বয়সে উপনীত হওয়ার পরও অভিভাবক বিয়ে করাতে না চাইলে তাদের ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম-এর বিধান কি?

আরো পড়ুন: বিয়ে না করে একাকী থাকতে চাইলে কি গুনাহ হবে? কী বলে দেওবন্দ

এ প্রশ্নের উত্তরে দেওবন্দ-এর ফতোয়া সাইটে বলা হয়েছে, মেশকাত শরীফের হাদীসে কিতাবুল ঈমানে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তায়ালা যে ব্যক্তিকে কোন সন্তান দান করেছেন তার কর্তব্য হলো, সন্তানের ভালো নাম রাখা। তাকে উত্তম ব্যবহার শিক্ষা দেওয়া। এরপর সন্তান বড় হয়ে গেলে তাকে বিয়ে দেওয়া।

সন্তান বড় হয়ে যাওয়ার পর অভিভাবক যদি বিয়ে করাতে না চায়, এর কারণে তার দ্বারা কোন (শারীরিক) গুনাহ হয়ে যায় তাহলে এই গুনাহের ভাগিদার হবেন তার অভিভাবক।

অর্থাৎ অভিভাবক বিনা কারণে সন্তানকে বিয়ে করাতে গরিমসি করেছেন, এর কারণে সংঘটিত গুনাহের শাস্তি অভিভাবকও ভোগ করবেন।

যদি আপনি বিয়ের বয়সে উপনীত হন, নিজের ও নিজের স্ত্রী সন্তানের ব্যয় বহনের মতো কোনো উপার্জন করার সক্ষমতাও রয়েছে, এবং আপনি বিয়ের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছেন, তাহলে আপনার বাবা-মায়ের উচিত আপনাকে বিয়ে করিয়ে দেওয়া। এতে অযথাই দেরি করা উচিত নয়।

এছাড়া এ জাতীয় ক্ষেত্রে পরিবার-এর মুরুব্বিদের মাধ্যমে বাবা-মাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা উচিত। যতদিন পর্যন্ত বিয়ে করার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয়; ততোদিন নিজেকে সংযত করার চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ নজরের হেফাজত করতে হবে, নিজের মাঝে উত্তেজনা তৈরি করে এমন জিনিস দেখা ও চিন্তা-ভাবনা করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। বেশী বেশী তওবা-ইস্তেগফার, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ  পাঠ করতে হবে। এসবের মাধ্যমেও নিজেকে সংযত করা সম্ভব না হলে বেশি বেশি রোজা রাখতে হবে।

আত্মহত্যা এবং এ জাতীয় অনৈসলামিক চিন্তাভাবনা; যেগুলোর ব্যাপারে হাদীসে কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এসব শয়তানি চিন্তাভাবনা মাথা থেকে বের করে দিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আপনার  সহায়ক হোন।

দেওবন্দের ফতোয়া সাইট থেকে অনুবাদ: নুরুদ্দীন তাসলিম।

এনটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ