আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। ঘুম শরীরকে চাঙ্গা রাখে ও মানসিক চাপ কমায়। কিন্তু কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানোটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য দৈনিক কত ঘণ্টা ঘুম দরকার এটা নিয়ে নানা মত রয়েছে।
শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা। যেমন শিশুদের একটু বেশি ঘুমাতে হয় প্রবীণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়। বয়স অনুযায়ী প্রতিদিন কোন মানুষের কতটুকু ঘুমানো জরুরি; এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন।
জেনে নিন কোন বয়সে কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত-
এক. শূন্য থেকে ৩ মাস বয়সী শিশুদের ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
দুই. ৪ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়।
তিন. ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের দরকার হয় ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টার ঘুম।
চার. ৩ থেকে ৫ বছর বয়সীদের জন্য ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।
পাঁচ. ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে।
ছয়. ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের।
সাত. ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
আট. ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
নয়. ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে, অনশনে মানুষ ১৪ দিন বাঁচতে পারে। না ঘুমিয়ে ১০ দিনের বেশি বাঁচা যায় না। তাই শরীর সুস্থ রাখতে, কাজ ভালো করতে ও মগজকে রিচার্জ করতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। ঘুমহীনতা আপনাকে মানসিকভাবেও অসুস্থ করে তুলবে। আর পরিমিত ঘুম হলে শরীর, মন, মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়। ফলে কাজের পারফরম্যান্স বা আউটপুট ভালো হয়।
-এএ