শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

আস্তানার নামে ওয়াক্ফ করা জায়গায় মাদরাসা বানানোর বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: আস্তানার নামে ওয়াক্ফ করা জায়গায় মাদরাসা বানানো যাবে? অথবা মসজিদ? কিংবা মকতব? এমন প্রশ্ন করতে শোনা যায় অনেককে। কেননা ভারতীয় উপমহাদেশে একটা সময় ছিলো, যখন ধর্ম বলতে সাধারণ বুঝতো পীর ফকিরের দরবার আর মাজার শরীফ কিংবা আস্তানাকে। তখন কুরআন-হাদিসের ছহীহ চর্চা না থাকাতেই হয়তো এমনটা হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ নিজেদের সবকিছু দান করে যেতো মাজার কিংবা পীর-ফকিরের আস্তানাতে।

এখন সময়ের পরিবর্তন এসেছে। ধর্মের বুঝ এসেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তাই অনুশোচনায় ভুগছেন তারা। তবে সে সময়ের আস্তানার নামে ওয়াক্ফ করা জায়গায় কী মসজিদ-মাদরাসা বানানো যাবে? দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এমনই একটি প্রশ্ন করেন জনৈক ব্যক্তি।

প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘পূর্বেকার জামানার লোকেরা উত্তম বা কল্যাণ মনে করে নিজেদের কোনো জায়গাকে আস্তানার নামে ওয়াক্ফ করে দিয়েছেন। যেখানে মুহাররম মাসে বিদআত ও শরীয়ত বিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এখন যদি যে জায়গায় সেই গ্রামের বাসিন্দারা পরামর্শ সাপেক্ষে মসজিদ অথবা মাদরাসা কিংবা মকতব প্রতিষ্ঠা করে। অথবা হুবহু ওই জায়গায় যেখানে আস্তানা বানানো হয়েছে, সেখানে মসজিদ বানান, তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?’

উল্লেখ থাকে যে, ‘যদি ওই জায়গায় যেখানে আস্তানা বানানো আছে সেখানে মসজিদ বানানো না হয়, তাহলে পরবর্তীতে সেখানে আরো অনেক বেশি বিদআত ও শরীয়ত বিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে। দয়া করে এ মাসআলাটির সমাধান দিয়ে ধন্য করবেন।’

এ প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘যদি কোনো ফেতনা হওয়ার আশঙ্কা না থাকে। আর ঐ স্থানের জিম্মাদার বা মুতাওয়াল্লী গ্রামবাসীর সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে সে জায়গাটি মসজিদ, মাদরাসা বা মকতবের নামে পরিবর্তন করে নেয়, তাহলে কোন সমস্যা নাই। মাকরুহ ছাড়াই সেটা জায়েজ আছে।’

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ