মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর
বিদেশী মুসুল্লিদের জন্য সৌদি আরব থেকে ওমরা হজের অনুমোদন দিয়েছে চলতি মাসের গত ১০ আগস্ট। আর আজ হচ্ছে ১৪ আগস্ট। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে গত ১০ আগস্ট-ই যাত্রীরা ওমরাহর জন্য সৌদি আরবে যান।
কিন্তু চারদিন পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ থেকে এখনও কোন ওমরা যাত্রী যায়নি সৌদি আরবে। আরও ঠিক কতদিন লাগতে পারে, তার সঠিক হিসাব নেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে। এমনকি সরকারের হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছেও নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য নেই।
এমনটাই বলছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চলে এসেছে। তবে যাত্রী প্রেরণের জন্য যে কাজগুলো সম্পন্ন করা দরকার, সেগুলো বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর এসব কাজগুলো এজেন্সীর অধীনে সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদিত বাংলাদেশের সকল এজেন্সিগুলোকে যাত্রী প্রেরণের কাজ সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এজেন্সিগুলো যখন তাদের কাজ শেষ করতে পারবে, তখনই কোন ওমরা যাত্রী সৌদি আরবে গিয়ে ওমরা পালন সম্পন্ন করতে পারবেন। এখন যে কাজগুলো বাকি আছে, তা সম্পূর্ণই এজেন্সিকেন্দ্রীক। সরকারের কাছে আর কোন কাজ আঁটকে নেই।’
এদিকে হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, ওমরা নিয়ে নতুন করে বলার মতো কোনো খবর আমার কাছে নেই। পূর্বে যতটুকু জেনেছেন ততটুকুই। এখনো পর্যন্ত কিছু লেখার মত বা বলার মত সময় আসেনি। কবে নাগাদ বাংলাদেশ থেকে প্রথম ওমরা যাত্রী যেতে পারবেন, তারও সঠিক কোনো তথ্য তার কাছে নেই বলে জানান তিনি।
তবে দেশের হজ-ওমরার ট্রাভেলস এজেন্সীগুলো বলছে, বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ওমরাহ যাত্রী প্রেরণ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
মাবরুর হজ কাফেলার সত্ত্বাধিকারী মুফতি মুশতাক আহমদ আল-মাদানী বলেন, ‘সম্ভাবনা আছে চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে আমরা ওমরা যাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পাঠাতে পারবো। কেননা বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায় আঁটকে আছে ওমরা যাত্রীদের ফ্লাইট।
তিনি বলেন, সৌদি সরকার অনুমোদিত দুইডোজ টিকা গ্রহণের পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে একজন ওমরা যাত্রীকে। যদি বাংলাদেশেই তারা এ কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেন, তাহলে সৌদি আরবে গিয়ে আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তাই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চলতি মাসের শেষের দিকে আমরা যাত্রীদের ওমরায় পাঠাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
কথা বলেছিলাম রাহনুমা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের প্রোপাইটার মুফতি জুবায়ের গণীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সৌদি সরকার যদিও অনুমোদন দিয়েছেন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিমানের টিকেটের ফেয়ার ঘোষণা করা হয়নি। যার মাধ্যমে যাত্রীদের প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়।
অতএব সরকারের পক্ষ থেকে সব কাজ সম্পন্ন করে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যাত্রী পাঠাতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাহনুমা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের প্রোপাইটার মুফতি জুবায়ের গণী।
তিনি বলেন, যাত্রী প্রেরণের জন্য আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই। বিমানের টিকিটের ফেয়ার নির্ধারণের পরই আমরা ওমরার কাফেলা বাংলাদেশ থেকে পাঠাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এমডব্লিউ/