আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বর্ষা ঋতুতে প্রাপ্ত বয়স্করা স্বাস্থ্যজনিত নানান সমস্যার সম্মুখীন হোন। তাই বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের প্রতি এ সময়টাতে বেশি নজর রাখা উচিত। যেহেতু বাচ্চাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বেশ কম থাকে, সেজন্য সহজেই তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সর্দি, হাঁচি-কাশি, পেটের সমস্যা বর্ষাকালে বাচ্চাদের ‘কমন’ রোগবালাই হলেও, অবহেলা করা ঠিক নয়। কারণ অসাবধানতা ও অবহেলা থেকেই ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। জেনে নিন বর্ষার দিনগুলোতে বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়ায় কোন কোন বিষয়গুলোতে দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিশুদ্ধ পানি
বর্ষাকালে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। প্রতিদিনের জীবনযাপন ও খাওয়াদাওয়ায় পরিবর্তন আনলে, এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। প্রথমেই খাবার পানির বিষয়টিতে সচেতন হোন। অধিকাংশ জীবাণু সংক্রমণের সমস্যা অপরিষ্কার পানি থেকেই হয়। বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে ফিল্টারড ওয়াটার বা হালকা গরম পানি পান করনোর চেষ্টা করুন। সব সময় পানির জগ-বোতল পরিষ্কার রাখুন। কোনো ভাবেই যেনো বাচ্চা বিশুদ্ধ পানি ছাড়া অন্য কোনো অপরিষ্কার পানি পান না করে।
শাকসবজি ও ফল
বর্ষার সময়টাতে বাচ্চাকে বাসি খাবার, কাঁচা ফল ও সবজি থেকে দূরে রাখুন। রান্না করা, টাটকা খাবার খাওয়াতে চেষ্টা করুন। তাজা, রঙিন শাকসবজি এবং ভিটামিন সি, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে পারেন। বিশেষ করে করলা, পালং শাক, লেবু, জাম, পেয়ারা খাওয়াতে পারেন। তবে কাটা, কিছু অংশ পঁচে যাওয়া ফল এড়িয়ে চলুন।
ড্রাই ফুড
বাচ্চাদের দৃষ্টিতে যেকোনো বোরিং বা বিরক্তিকর খাবারকে মুহূর্তেও মধ্যে লোভনীয় করে তুলতে পারে ড্রাই ফুড। যেমন কাজু বাদাম, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি। এছাড়াও ড্রাই ফ্রুটে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা আপনার বাচ্চার এনার্জি লেভেলকে বাড়াতে সাহায্য করবে।
মাছ ও মাংস
বর্ষাকালে অসুখ-বিসুখ থেকে বাচ্চাকে রক্ষা করতে পারে তার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। বাচ্চার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালি করে তুলতে সাহায্য করে মাছ বা মাংস। প্রোটিন, ভিটামিন বি, জিঙ্ক, এবং মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরকে সবল করে তোলে। মাছ ও মাংস দিয়ে হালকা কিন্তু মুখরোচক কিছু খাবার বানিয়ে দিন বাচ্চাকে। দেখবেন খুব তৃপ্তি নিয়ে খাবে।
রান্নায় হলুদ রাখুন
হলুদ তো আর এমনি এমনি বাচ্চারা খেতে চাইবে না। তাই কৌশল করে বাচ্চাদের খাবারে হলুদ ব্যবহার করুন। প্রথম প্রথম হলুদযুক্ত খাবার খেতে অনীহা দেখাতে পারে বাচ্চারা। এতে হাল ছাড়লে চলবে না। ধীরে ধীরে হলুদ খাওয়ানোর অভ্যাস করান। এতে রয়েছে কারকিউমিন নামের এক কম্পাউন্ড, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন ডি’এর জন্য মাশরুম খাওয়াতে পারেন।
এনটি