সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর। দিনের পর দিন হজমজনিত সমস্যার কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শিশু- সকলেরই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাদ্যাভাসের কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্যের উপসর্গ দেখা যায়, তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে শিশুদের অবস্থা খানিকটা শোচনীয়। কম পানি খাওয়ার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়। কয়েক মাসের শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তার উপসর্গ বুঝতে, ঘরোয়া উপায়ে শিশুকে আরাম দিতে, সমস্যার উপশম করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়।

শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছরের কম বয়সিদের মধ্যে কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হলে তা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। আরও সমস্যার হল, তাদের ব্যাথা-যন্ত্রণার অনুভূতি নিয়ে কোনও মত প্রকাশও করতে পারে না দুধের শিশুরা। প্রথমে শিশুর শারীরিক সমস্যার কথা বুঝতে পারেন না অভিভাবকরা। কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে বুঝতে পারবেন শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। খেয়াল করুন মল ত্যাগের সময় শিশু কষ্ট পাচ্ছে কি-না। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মল অনেকটা শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে মল সহজে বের হয় না।

কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে শিশুর মল শক্ত, কালো এমনকি রক্তাক্ত হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। শিশু কান্নাকাটি করে থাকে।

শিশুর পেট ফুলে যায় এবং কিছু খেতে চায় না। পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার কারণেই এমনটি হয়। এমন সমস্যা তৈরি হলে শিশুরা নিয়মিত মল ত্যাগ করে না। গুরুতর হলে ৫-১০ দিনেও শিশু মল ত্যাগ করে না।

কী করা উচিত

শিশুর এমন সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ভাল করে চেক-আপ করিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর দেখভাল করুন।

প্রতিদিন নিয়ম করে ব্রেস্টফিড করাতেই হবে। যদি কোনও ব্র্যান্ডের ফর্মুলা দুধ খায়, তাহলে তার পরিমাণ নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

শিশুকে প্রতিদিন ব্যায়াম করান। হাত-পা-পেটে ভাল করে তেল মালিশ ও ব্যায়াম করান। তাতে শিশুর শরীরের রক্ত সঞ্চালন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। পেট থেকে গ্যাস বের হতে সাহায্য় করে এই পদ্ধতি।

ডাক্তারের নির্দেশে , বাচ্চা যদি ৬ মাসের বেশি বয়স হয় তাহলে অল্প অল্প ফলের রস খাওয়াতে পারেন। খোসা ছাড়ানো আপেলের রস দিতে পারেন। দেখবেন ফলের রস কোনওভাবে টক না হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও খাওয়াতে পারেন।

ছোট শিশুকে সবসময় শুয়ে না রেখে সাবধানে বসিয়ে রাখতে চেষ্টা করুন। স্নানের সময় বাথটাবে বসিয়ে স্নান করান। এই সমস্যার সময় হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুকে স্নান করালে ভাল হয়।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ