সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

ডেঙ্গু ও করোনার মাঝে পার্থক্য বুঝবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:

ডেঙ্গু ও করোনার পার্থক্য
ডেঙ্গু ও করোনা উভয় অসুখেই জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং খাবারে অরুচি হয়ে থাকে। তবে ডেঙ্গু হলে করোনা রোগীর মতো শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও ঘ্রাণ না পাওয়ার মতো লক্ষণগুলো থাকে না। বরং জ্বর শুরুর চার-পাঁচদিন পর শরীরে লাল অ্যালার্জির মতো র্যা শ হতে পারে।

ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে করণীয়

ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা জমা হওয়া স্বচ্ছ পানিতে ডিম পাড়ে। তাই ফুলদানি, অব্যবহৃত খালি কৌটা, যে কোনো পাত্র বা জায়গায় জমে থাকা পানি ৩-৫ দিন পরপর ফেলে দিতে হবে যেন মশার লার্ভা মারা যায়। পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণের জন্য পাত্রটি ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।

এছাড়া ঘরের অ্যাকুয়ারিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে এবং মুখ খোলা পানির ট্যাংক এসব জায়গায় পানি জমতে না দেওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। পাশাপাশি হাসপাতাল ও অফিস-আদালতের আনাচকানাচে মশার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

এডিস মশা মূলত দিনের বেলা, সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে রাতে উজ্জ্বল বৈদ্যুতিক আলোতেও এ জাতীয় মশা কামড়াতে পারে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।

সেই সঙ্গে ঘরের দরজা ও জানালায় নেট লাগানো উচিত। প্রয়োজনে মশারোধক স্প্রে, লোশন, ক্রিম, কয়েল ম্যাট ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। যথাসম্ভব শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে।

ডেঙ্গু রোগীর যত্ন

পুষ্টিকর খাবার এবং প্রচুর পরিমাণে তরল যেমন-ফলের রস, শরবত, ডাবের পানি ও স্যালাইন নেওয়ার মাধ্যমে দ্রুত রোগমুক্ত হওয়া যায়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। বেশিরভাগ ডেঙ্গু রোগী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। ক্ষেত্রবিশেষে মৃত্যুও হতে পারে।

সুতরাং, নাক ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ এবং অবসাদ দেখা দিলে, বমি, মল অথবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে কিংবা প্রচণ্ড পেট ব্যথা ও অনবরত বমি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

কোনোভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যাসপিরিন বা অন্য ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যাবে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় ডেঙ্গু নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো করা যাচ্ছে।

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালনের মাধ্যমে চলমান করোনা অতিমারি ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ থাকা সম্ভব। আসুন সবাই সচেতন নাগরিক হিসাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ