আবদুল্লাহ জাফর: বহু বছর আগ থেকেই পটুয়াখালীসহ অনেক এলাকায় গরুর মাথার চামড়া রান্না করে খাওয়া হয়। বিশেষ করে গরুর পায়া (পা) এর সাথে মাথার চামড়াও রান্না করা হয়। মাথার চামড়া মোটা হওয়ায় এটির ভিন্ন চাহিদা আছে।
তবে প্রতিবছর চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় গরুর চামড়াও এখন খাবার তালিকায় যুক্ত করছেন কেউ কেউ। আর যারা একবার চামড়া খেয়েছেন স্বাদের প্রসংশা করেছেন তারা। চামড়ার রন্ধন প্রক্রিয়াও অনেকটা সহজ।
প্রথমেই চামড়া এক থেকে দেড় ফিট সাইজের ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে। এরপর মেঝেতে কোনো কিছুর উপর রেখে চামড়ার উপরের অংশে গরম পানি ঢেলে সাথে সাথে স্ট্রিলের চামুচ দিয়ে আচড় দিলে উপরের পশমগুলো উঠে যাবে। লোম উঠে যাবার পর চামড়ার নিচের অংশ পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরা করতে হবে।
ভালোভাবে ধুয়ে গরম পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। সিদ্ধ হলে, প্রয়োজনীয় মশলা দিয়ে মাংসের মত করে রান্না করতে হয়। একটি চামড়ায় ১০ থেকে ১৫ কেজি কিংবা এর থেকে বেশি পরিমাণ মাংস পাওয়া যায়। এছাড়া চামড়া দিয়ে হালিম, চটপটি রান্না করলেও তা মজাদার হয়। আর গরম চামড়া দিয়ে ভাত ও রুটি খাওয়া আরো মজাদার।
চামড়াজাত পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও পটুয়াখালীসহ সারা দেশে চামড়ার দাম ক্রমশই কমছে। সারা বছর যে দামে চামড়া বিক্রি হয় কোরবানি ঈদের সময় তার থেকেও চামড়ার দাম কমে যায়। ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী কোরবানির পশুর চামড়ার টাকা দুস্থ ও গরিবদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে।
তবে চামড়ার দাম কমায় গরিবরাও আর্থিক সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় প্রতিবাদ স্বরূপ চামড়া ফেলে দিচ্ছেন কিংবা মাটিতে পুতে ফেলছেন। তবে চামড়া নষ্ট না করে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে, কোরবানির গরুর চামড়া খাওয়াকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ।
-কেএল