মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর
মাহমুদা খাতুন মহিলা কামিল মাদরাসা। রাজধানীর বংশালের আবুল খায়রাত রোড আরমানীটোলায় মাদরাসাটি অবস্থিত। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদরাসায় শুধু ছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হয়। ‘করোনাকালে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা’ বিষয়ক সাক্ষাৎকারে আজ থাকছে এ মাদরাসার নারী অধ্যক্ষ আলেমা উম্মে হানীর পরামর্শ। করোনাকালের এ সংকটময় মুহুর্তে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, করোনাকালে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। আল্লাহ যে হালতে রাখেন সর্বাবস্থায়ই শুকরিয়া। করোনাকালে পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনলাইনই এখন আমাদের প্রধান ভরসা। তাছাড়া বাংলাদেশে যখন থেকে করোনার সূচনা হয়, তখন থেকেই আমরা অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছি। আমাদের উস্তাদরা প্রত্যেকেই অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। ছাত্রীরাও অংশ নিচ্ছেন নিয়মিত। তবে কখনো কেউ অনুপস্থিত থাকলে আমরা খোঁজখবর নিয়ে পুনরায় তাদের ক্লাসে আনার চেষ্টা করি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্বের মত আচরণ করতে হবে: মাওলানা মাহমুদুল হাসান আল-মাদানী
তিনি বলেন, করোনা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। এ অবস্থায় আমাদের ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। বরং সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। কেননা আল্লাহর উপর ভরসা করা ছাড়া মুক্তি নেই।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম: অধ্যক্ষ, এন.এস কামিল মাদরাসা
শিক্ষার্থীদের আদর্শিক হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে এ মহিলা মাদরাসার প্রিন্সিপাল বলেন, ছাত্রীদের জন্য করোনাকে একটি রহমত হিসেবেই আমি মনে করি। কেননা তাদের জীবনের বেশি অংশ কেটে যায় স্বামীর বাড়িতে। স্বামী ও শশুর-শাশুড়ির খেদমাতের নানা বিষয় তারা এ লকডাউনে ঘরে বসে নিজের মায়ের কাছে শিখত পারে। যা ক্লাস চলাকালীন সময়ে সম্ভব ছিলো না। তাদের জন্য এটাই হলো সবচে বড় আদর্শ যে তারা জীবনে উন্নতি করবেন। স্বামীর বাড়িতে ভালো থাকার যাবতীয় শিক্ষা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: আল্লাহর সাহায্য ছাড়া মুক্তির উপায় নেই: আ.খ.ম আবুবকর সিদ্দীক
আর শিক্ষিকা যারা আছেন তারা নিয়মিত টেলিফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাদের খোঁজ খবর রাখবেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে লিয়াজোঁ রাখবেন। মোটকথা ছাত্রীদের সাথে তারা আলাদা আন্ডাসটিং তৈরি করবেন। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের মত আচরণ করবেন। তাহলেই আদর্শ শিক্ষিকা আর আদর্শ শিক্ষার্থী গড়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিক্ষার্থীরা এই ৭ বিষয়ে মনোযোগী হবে: অধ্যক্ষ, তামীরুল মিল্লাত মাদরাসা
সবশেষ তিনি বলেন, করোনাকালে ছাত্রীরা নিজের পিতা-মাতার খেদমত করবেন সবচে’ বেশি। কেননা অন্য সময় পিতা-মাতার খেদমাতের সুযোগ সেভাবে পাওয়া যায় না। তাই এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
এমডব্লিউ/