আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে আরোপিত চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু রয়েছে। তবে ঈদের পর আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য সব কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জারি করা এক প্রজ্ঞপনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এরপর বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। এই কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।
সারা দেশে করোনা রোগী উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বিধিনিষেধেও বিশেষ ব্যবস্থায় রপ্তানিমুখী পোশাক ও শিল্প কারখানা খোলা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে (৯ জুলাই পর্যন্ত) বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এরই মধ্যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এরমধ্যে গত রোববার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৬৮ জন, যা এ যাবৎকালে এক দিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এমডব্লিউ/