আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে ভার্চুয়াল জগতে আরও অ্যাক্টিভ থাকতে প্রতিনিয়তই ব্যবহার করা হয় অসংখ্য গ্যাজেট। নানা রকম গ্যাজেটের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে হেডফোন বেশ দরকারি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে রাখলে কানের অনেক ক্ষতি হয়। এ বিষয়টি হয়তো অনেকেরই অজানা। জেনে নিন ক্ষতিকর এই অভ্যাসের ফলে আপনার কী কী সমস্যা হতে পারে-
সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টানা এক ঘণ্টার বেশি কেউ যদি কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন, তবে তার শ্রবণক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। অন্যের সঙ্গে হেডফোন শেয়ার করাটাও খুব একটা সুবিধার কাজ নয়। এর ফলে সবচেয়ে দ্রুত এবং সবচেয়ে সহজে ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন একজনের থেকে অন্যজনের দিকে ছড়াতে পারে।
এ দিকে, এনআইএইচএল বা নয়েজ ইনডিউসড হিয়ারিং লস সূত্র অনুযায়ী, সর্বোচ্চ শব্দমাত্রার ৬০ শতাংশের বেশি ভলিউম বাড়ানো কখনোই উচিত নয়। এছাড়া দীর্ঘসময় হেডফোন পরে থাকলে কানের গহ্বরের ভেতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কানের ভেতরে ঘাম জমতে থাকে। এর থেকে ব্লাকহেড বা অ্যাকনে জন্মায়।
অন্যদিকে, দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করা থেকে ভার্টিগোর মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে। প্রায়শই বেশিক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করলে বমিবমি ভাব, মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম ভাব অনুভূত হয়। এগুলো সবই ভার্টিগোর প্রাথমিক উপসর্গ।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন ২০১৮ সালে একটি গবেষণা করে দেখেছে, ব্লু-টুথ হেডফোন ব্যবহার করলে শরীরে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের প্রভাব পড়ে। যা খুবই ক্ষতিকারক। এছাড়া গাড়ি চালানোর সময় কিংবা রাস্তায় চলাকালীন বেশি ভলিউমে হেডফোনে গান শোনা উচিত নয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে।
এনটি