আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ‘কঠোর’ লকডাউনের তৃতীয় দিন ঢাকায় ৬২১ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে এই বিধিনিষেধ শুরুর পর তিন দিনের মধ্যে শনিবারই ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হল। এ নিয়ে বিধিনিষেধ ভঙ্গের কারণে এক হাজার ৪৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হল রাজধানীতে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গণ্যমাধ্যম বিভাগ থেকে জানানো হয়, ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার ছাড়াও আরও ৩৪৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগকেই ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারায় আদালতে পাঠাচ্ছে। ‘পাঁচ আনি’ মামলা হিসেবে পরিচিত এসব অভিযোগে হাকিকের ধার্য করা জরিমানার টাকা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগ।
ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য এই কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হলেও প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়তে পারে বলে ইংগিত দিয়ে রেখেছেন সরকারের কর্তাক্যক্তিরা।
লকডাউনের মধ্যে শনিবার ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।লকডাউনের মধ্যে শনিবার ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠে রাখা হয়েছে ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে।
অফিস-আদালত, গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ; জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব যান্ত্রিক বাহন চলাচেলেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ঘরে থাকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৫০ জন, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার গ্রেপ্তার হন ৩২০ জন। তারা ‘অপ্রয়োজনে’ ঘর থেকে বের হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
লকডাউন শুরুর আগে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের ঢাকার পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে, তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে প্রথম দিনে ৫০০০ মামলা ও গ্রেপ্তার করতে হচ্ছে আমরা তাও করব।’
এমডব্লিউ/