অঅন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিলগেম যুদ্ধজাহাজ প্রকল্প তুরস্কের জন্য বিপুল সম্মান ও মর্যাদা বয়ে এনেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি সাফাক।
জাতীয় যুদ্ধজাহাজ প্রকল্প (মিলগেম) হলো তুরস্কের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা বিষয়ক রফতানি খাত। এটা শুধুমাত্র একটি নিছক বিক্রয় সংক্রান্ত প্রকল্প নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিরক্ষা কোম্পানি ‘মিলিটারি ফ্যাক্টরি অ্যান্ড শিপিইয়ার্ড ম্যানেজমেন্টের’ (আসফাট) প্রধান এসাদ আকগাম।
তিনি বলেছেন, এ মিলগেম যুদ্ধজাহাজ প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটির নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে ব্যাপক ভূামিকা রেখেছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম দু’টো যুদ্ধজাহাজ উৎপাদিত হবে তুরস্কে বাকি দু’টো জাহাজ উৎপাদিত হবে পাকিস্তানে। এ জাহাজগুলো ২০২৩ সালে সরবরাহ করা হবে।
এসাদ আকগাম আরো বলেন, নৌবাহিনী ছাড়াও তুরস্ক পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে কাজ করছে।
মাইন পরিষ্কারক যন্ত্রপাতি তৈরির প্রকল্প ‘মেকানিক্যাল মাইন ক্লিয়ারিং ইকুইপমেন্ট’-এর (মেমাটট) কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নেয়ার কারণে তিনি তুরস্ক কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন। তিনি এ প্রকল্পকে একটি বিপ্লবের সাথে তুলনা করেছেন।
এ তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, এ মাইন পরিষ্কারক জাহাজগুলো তুরস্ক ও আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এসাদ আকগাম বলেন, ‘আজারবাইজান তুরস্কের কাছ থেকে ২০ মাইন পরিষ্কারক জাহাজ কেনার জন্য চুক্তি করেছে। কিন্তু তারা এ জাহাজ কেনার সংখ্যা আরো বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে তুরস্কের সামরিক অস্ত্র রফতানি আরো বাড়বে বলেই আমাদের একান্ত আশা ও বিশ্বাস।
এসাদ আকগাম বলেন, নির্ভুলভাবে আক্রমণ হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রিসিশন গাইডেন্স কিট-৮২’ (এইচজিকে-৮২) হলো আরেকটি বৈপ্লবিক প্রকল্প। এ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের ওপর তুরস্কের নির্ভরতা কমবে এবং তুরস্ককে প্রভাবশালী আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত করবে। এছাড়া নির্ভুলভাবে আক্রমণ হানার এ প্রকল্প তুরস্ককে এমন সক্ষমতা দিয়েছে যে দেশটি তার পুরাতন যুদ্ধোপকরণ ও অস্ত্রগুলোকে আধুনিক করে ফেলতে পারবে। তুর্কি সমরাস্ত্রের এ আধুনিকায়নে দেশটির অন্য কারো সাহায্যও লাগবে না।
সূত্র: ইয়েনি সাফাক
এনটি