শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

তুরস্কে এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেল সিরিয়ার শরণার্থী কিশোর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার ভয়াবহ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বাবা-মা’র সঙ্গে তুরস্কে আশ্রয় নেন দিলয়ার সাফো। সিরিয়ার এই শরণার্থী কিশোর তুরস্কের উচ্চ-মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় (এসএসসি) সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

তুরস্কভিত্তিক আনাদোলু এজেন্সি এটা নিয়ে বিশেষ খবর প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, গত ৬ জুন তুরস্কে প্রবেশিকা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কের জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর ৩৬টি প্রদেশের ৯৭ জন শিক্ষার্থী শতভাগ নম্বর পেয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে আগত দিলয়ার সাফো অন্যতম। তিনি কুরতালান সালাউদ্দিন আয়ুবী ইমাম হাতিপ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

দিলয়ার সাফো জানান, ২০১৫ সালে যখন তিনি তুরস্কের দক্ষিণপূর্ব সিরত প্রদেশে এসে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। ওই সময় তিনি তুর্কি ভাষা জানতেন না। এখন তিনি আরবি, কুর্দিস, তুর্কি ও ইংরেজি ভাষা জানেন।

সফলতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রায় দুই বছর ধরে পরীক্ষায় কীভাবে ভালো করা যায় তা নিয়ে কঠোর মনোনিবেশ করছিলাম। মহামারিতে যখন পড়ালেখা বন্ধ হবার উপক্রম তখন শিক্ষকরা অনুপ্রাণিত করেছে।

সাফল্যের কৃতিত্ব শিক্ষকদের উল্লেখ করে দিলয়ার সাফো বলেন, করোনা মহামারির সময় শিক্ষকর আমাকে হোয়াটস অ্যাপে নিয়মিত অনুশীলন প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে সহায়তা করেছে। পরীক্ষায় সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়ার জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করতাম। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস থাকলে সফলতা অবশ্যম্ভাবী। তার পছন্দের বিষয় গণিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমি একজন প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) হতে চাই।

দিলয়ার সাফোর স্কুলের শিক্ষক পোলাত বলেন, আর্থিক কারণে তার পরিবার জেলা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা যেতে দেয়নি। স্কুলের শিক্ষক-কর্মকর্তা-অভিভাবকরা মিলে গত তিন বছর ধরে তার পরিবারকে সমর্থন দিয়েছি।

আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, দিলয়ার সাফো সিরিয়া থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রথমে তুরস্কের সিরত প্রদেশের কুরতালানে আশ্রয় নেন। তার বাবা-মা উভয়ই পেশায় দর্জি। তার ছোট দুই ভাই-বোন আছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ