আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিন তিনেক আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএউচও) জানিয়েছিল, দেশের ৬৪টি জেলার ৪০টিই করোনা সংক্রমণের ‘অতি উচ্চ ঝুঁকি’তে রয়েছে। এবার সেন্টার ফর রিসার্চ, ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাকশন (সিআরআইডিএ) জানালো, বর্তমানে অতি উচ্চ ঝুঁকিতে ৫৯টি জেলা।
আজ শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. শাহরিয়ার রোজেন। ডব্লিউএউচও গত ১৪-২০ জুনের সংক্রমণেরর ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ২০ জুনের পর অবিশ্বাস্যভাবে সংক্রমণ অনেক বেড়েছে বলে জানায় সিআরআইডিএ।
গত ১৮-২৪ জুনের তথ্য বলছে, অতি উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ৫৯ জেলায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ জেলায় এই হার ২০ শতাংশের বেশি, যা ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর হারও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যাটা ১৮ জুন ৫৪ ছিল, তা ৭ দিন পরে দাঁড়িয়েছে ১০৮ জনে।
সিআরআইডিএ জানিয়েছে, ভাইরাসটির ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে হঠাৎ করেই বাংলাদেশে সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক এটি।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এবং এতে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় দ্বিগুণ। এই ভ্যারিয়েন্টটির বিরুদ্ধে ফাইজার-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সবচেয়ে কার্যকর বলে জানান ডা. শাহরিয়ার রোজেন।
এর আগে বাংলাদেশে এক সপ্তাহের নমুনা পরীক্ষা এবং রোগী শনাক্তের হার বিবেচনা করে গত মঙ্গলবার সাপ্তাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডব্লিউএউচও। তাতে জেলাগুলোকে অতি উচ্চ, উচ্চ ও মধ্যম ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করে সংস্থাটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০টিই রয়েছে অতি উচ্চ ঝুঁকিতে। উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ১৫টি জেলা এবং ৮টি জেলা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্তের হার ১১৪ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ।
-এটি