আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভাসমান টার্মিনাল এবং একইসাথে পুনঃগ্যাসে রূপান্তরকরণ ইউনিট (এফএসআরইউ) নির্মাণ করেছে তুরস্ক। তুর্কিদের পূর্বপুরুষ ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর পিতা আরতুগ্রুল গাজীর নামে নির্মাণ করা নৌটার্মিনালটি ইতিমধ্যে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
২৫ জুন শুক্রবার তুরস্কের সিরিয়া সীমান্তবর্তী জেলা হাতায়ের জলসীমায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ভাসমান টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। শেষে সেটি পানিতে আনুষ্ঠানিক নোঙর করা হয়। টিআরটির তথ্য অনুযায়ী এটি প্রতি ২৪ ঘন্টায় অন্তত ২৮ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে। এ সক্ষমতা তুরস্কে সরবরাহকৃত মোট গ্যাসের প্রায় ৮.২ শতাংশ।
তুরস্কের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী ফাতিহ দোনমেজ এ প্রসঙ্গে বলেন, আরতুগ্রুল গাজী নামের ভাসমান টার্মিনাল কাম জাহাজটি গত এপ্রিলে তুরস্কে এসে পৌঁছেছে। এই প্রথম কোনো ভাসমান টার্মিনাল এবং পুনঃগ্যাসে রূপান্তরকরণ ইউনিট (এফএসআরইউ)-এর মাথার উপর তুরস্কের জাতীয় পতাকা উড়বে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা হাতায়ের দোরতয়োল বন্দরে এটি নোঙর করা হয়েছে।
আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, নিরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষে নোঙরকৃত এ জাহাজটি আমাদের দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং সবদিক থেকে এটি আমাদের দেশের জন্য কল্যাণ ও সুফল বয়ে আনবে।
আরতুগ্রুল গাজী ‘জাহাজ’টি দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই শিপইয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস পরিশোধনকারী জাহাজগুলোর একটি, যা দৈনিক অন্তত ২৮ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহে সক্ষম। এটির দৈর্ঘ ২৯৫ মিটার এবং প্রস্থ ৪৬ মিটার এবং উচ্চতা অন্তত ৬৩ মিটার।
মহান তুর্কি বীর আরতুগ্রুল গাজী ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উসমান (১২৫৭-১৩২৬)-এর পিতা। ওঘুজ বংশীয় এ নেতা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়া তার পূর্বপুরুষ ও স্বজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। পরে তার কনিষ্ঠ পূত্র উসমান গাজী ঐক্যবদ্ধ জাতিকে আরো শক্তিশালী করে ১২৯৯ সালে উসমানীয় রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। এজন্য আরতুগ্রুল গাজীকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্বপ্নদ্রষ্টা আখ্যায়িত করা হয়। মহান এই বীর ১২৮০ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
সূত্র: টিআরটি আরবি
এনটি