আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকলেও রোগী না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা পরীক্ষার জন্য ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৭২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৩১ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নবীগঞ্জ উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় করোনা ইউনিটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাক্তার, নার্সের পাশাপাশি নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯টি করোনা বেড রয়েছে। আইসিইউ না থাকলেও অক্সিজেন রয়েছে ১৮টি। তাৎক্ষণিক নমুনা সংগ্রহ শেষে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার জন্য চালু রয়েছে র্যারপিড টেস্ট সেবা। নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসাসামগ্রী থাকলেও রোগীদের কোনো দেখা মেলে না।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, উপজেলা পর্যায়ে প্রাইমারি লেভেলের পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল ও চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে। যদি আগামী দিনে করোনা আক্রান্ত প্রকোপ বৃদ্ধি পায় ও রোগীর অবস্থা গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে আমরা প্রথমে হবিগঞ্জে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ও পরবর্তীতে সিলেট শামসুদ্দিন হাসপাতাল রয়েছে সেখানে প্রেরণ করব।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব যারা মানছেন না তাদের অর্থদণ্ড করা হচ্ছে। করোনার মহামারি রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান ইউএনও।
এমডব্লিউ/