আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফেনীর দাগনভূঞা বাজারে বড় ভাইয়ের সামনে থেকে পুলিশ পরিচয়ে ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে একদল বখাটে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দাগনভূঞা থানা পুলিশ মামলার প্রধান তিন আসামিকে গ্রেপ্তার ও শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচজনকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলার আসামিরা হলেন পৌরসভার আজিজ ফাজিল পুর গ্রামের নেওয়াজ মেম্বার বাড়ির ইমামুল হক মিরাজ (২০), ইয়ারপুর গ্রামের সাতবাড়ির শান্ত (২৮), উত্তর করিমপুর গ্রামের হাজী জমাদ্দর বাড়ির মিরাজ মাহমুদ নিরব (২০), আজিজ ফাজিলপুর গ্রামের তুহিন (২১) ও আজিজ ফাজিলপুর গ্রামের জনি চন্দ্র দে (২১)।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার বিবরণে জানা যায়, দাগনভূঞার একটি মাদ্রাসার ৮ শ্রেণির ছাত্রী ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ও তার ভাই বুধবার সন্ধ্যার পর দাগনভূঞা বাজারে কেনাকাটা করার জন্য আসে। পরে তারা কাঁচাবাজার শেষ করে বসুরহাট রোড সস্তা বাজারের ভেতরে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে মার্কেটে ঢুকে। কেনাকাটা শেষে তারা পার্শ্ববর্তী একটি খাবার দোকানে নাশতা করার সময় মামলার প্রধান আসামি ইমামুল হক মিরাজ ওই কিশোরী ও তার ভাইকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আটক করে। সময় ভুক্তভোগীরা নিজেদের ভাই-বোন বলার পরেও আসামি ইমামুল হক মিরাজ তা মানতে রাজি হয়নি। পরে ওই কিশোরীর মায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিলেও মিরাজ তাদের ছেড়ে দিতে রাজি হয়নি। আসামি মিরাজ তার সহযোগী বন্ধুদের ফোনে খবর দিয়ে ডাকবাংলা রোডে আসতে বলে।
অভিযোগে জানা যায়, একপর্যায়ে ওই কিশোরী ও তার ভাইকে আলাদা করে বখাটেরা ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় ওই কিশোরীর গায়ে হাত দিয়ে যৌন নির্যাতন চালায় বখাটেরা। পরবর্তীতে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আসামিরা কিশোরী ও তার ভাইকে পৃথক রিকশায় তুলে কিশোরীকে ইকবাল কলেজ রোড এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গজারিয়া সংযোগ সড়কের নির্জন স্থানে চালানো হয় যৌন নিপীড়ন। ঘটনাটি জানাজানি হলে রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে মোটরসাইকেলে বাসায় পৌঁছে দেয় বখাটেরা।
স্থানীয়রা জানায় এসব বখাটেরা একটি গ্যাংয়ে সক্রিয় সদস্য। তারা প্রতিনিয়ত এলাকায় মেয়েদের যৌন নিপীড়ন ও ইভটিজিং করে আসছে।
দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) পার্থ প্রতিম দেব জানান, ওই ঘটনায় জড়িত প্রধান তিন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। অপর আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
এনটি