আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের সুপ্রিমকোর্ট বন্দুক হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ফিলিস্তিনি এক ব্যক্তির পরিবারের ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন। এতে তিন সন্তানের জননী এক নারী গৃহহীন হওয়ার শঙ্কায় দিন পার করছেন।
ওই নারীর একটি আবেদেন প্রত্যাখ্যান করে বুধবার ইসরাইলি সুপ্রিমকোর্ট ঘর ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।
ইসরাইল জানায়, মুনতাসির শালাবি ২ মে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে বন্দুক হামলা চালালে এক ইসরাইলি নিহত এবং আহত হন আরও দুজন। হামলার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর পর মুনতাসিরের স্ত্রী সানা তার তিন সন্তান নিয়ে যে ঘরে বাস করেন, তা ধ্বংস করে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
এ পন্থা পরবর্তী সময়ে হামলা থেকে ইসরাইলিদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে বলে অভিমত বর্বর রাষ্ট্রটির।
মামলাটিতে যেসব ফিলিস্তিনি হামলা চালিয়ে গ্রেফতার বা নিহত হন, তাদের ঘর পরবর্তী সময়ে ধ্বংস করে দেওয়ার ইসরাইলি নীতিকে সামনে নিয়ে এসেছে।
সানা বলেন, বহু বছর ধরে আমি উনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ম্যাক্সিকোতে বসবাস করেন। সেখানে তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। প্রতি বছর এক বা দুই মাসের জন্য পশ্চিমতীরে আসেন বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। বাচ্চাদের বয়স ১৭, ১২ ও ৯ বছর। যারা আমার সঙ্গেই তুরমুস আইয়াতে বাস করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই নারীর ঘর ধ্বংস যেন না করা হয়, সে জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
এদিকে ইসরাইলিভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হামোকড বলছে— মুনতাসির শালাবি মানসিকভাবে অসুস্থ।
যদিও সুপ্রিমকোর্ট মুনতাসিরের মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আমলে নেননি।
সুপ্রিমকোর্ট বলছেন, মুনতাসির ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই ঘরে বাস করতেন। তা ছাড়া হামলার আগে সপ্তাহখানেক তিনি সেই ঘরেই ছিলেন। শালাবি যে
মানসিকভাবে অসুস্থ তা প্রমাণে যথেষ্ট তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি আবেদনকারীরা।
যদি ইসরাইলি সুপ্রিমকোর্টের আদেশ বহাল থাকে, তবে ৩০ জুনের মধ্যে যে কোনো দিন ওই ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।
এনটি