শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম 

‘আত্মহত্যা করছে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন মার্কিন সেনা’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশেষ করে পুরনো সেনা সদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে।

ছয় বছরের বেশি অভিজ্ঞ ৪৫ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা সদস্য আত্মহত্যা করেছে।প্রত্যাহার করে আনার পরও অনেকে আত্মহত্যা করেছে। খবর ইউএসএ টুডের।

এ পরিস্থিতিতে পেন্টাগন এই আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

মার্কিন সেনা সদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার সামাজিক প্রভাবের বিষয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ওইসব সেনা সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও নজিরবিহীনভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে যে সংখ্যক মার্কিন সেনারা প্রাণ হারিয়েছে, তার চেয়ে বেশি মারা গেছে আত্মহত্যা করে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্যারল গিয়াকোমো এ ব্যাপারে বলেছেন, প্রতিদিন গড়ে ২০ জন মার্কিন সেনা আত্মহত্যা করছে।

ধারনা করা হচ্ছে, ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে যেসব মার্কিন সেনা অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

অর্থাৎ গত দুই দশকে মার্কিন সরকারগুলো অযথা বিভিন্ন দেশে যেসব যুদ্ধ শুরু করেছে তা সেনাদের আত্মহত্যার পেছনে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।

১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর সন্ত্রাস নির্মূলের অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব যুদ্ধ শুরু করে এবং এ পর্যন্ত বহু মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।

এ সব যুদ্ধে কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি এবং কতোদিন এ যুদ্ধ চলবে তারও কোনো ঠিক ছিল না। ফলে সেনাদের মধ্যে মারাত্মক হতাশা দেখা দেয়।

এসব হতাশা থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি। ১১ সেপ্টেম্বরের পর আত্মহত্যার মাত্রা চারগুণে বেড়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।

এদের মধ্যে ২০১৮ সালে কর্মস্থলেই আত্মহত্যা করেছে ৩২৬ মার্কিন সেনা, ২০১৯ সালে ৩৪৮ এবং ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭ জনে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ