শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

বিদ্রোহীদের গুলিতে মিয়ানমারের ৮ সেনা নিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে কারেন রাজ্যের রাজধানী হপা আনের চারটি স্থানে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন দাবি করেছে, এই সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর অন্তত আট সদস্য নিহত হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কোনো মন্তব্য করা হয়নি। খবর মিয়ানমার নাউ।

খবরে বলা হয়েছে, ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করা বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’র সশস্ত্র বাহিনী। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সোমবার তারা কারেন ফোর্স ব্রিগেড-১ অঞ্চলের আওতাভুক্ত লে তাও গি, গুহ বি হিতি এবং মি বন ইনেতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

দুই পক্ষের মধ্যে লে তাও গি এবং মি বনে ব্যাপক লড়াই হয়। এতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষে আটজন নিহত হয়। সংঘর্ষে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে কেএনইউ।

এর আগে গত ১৪ জুন, কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির ব্রিগেড-১ হপা আনেতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, সেনাবাহিনীর মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

কেএনএলএর ব্রিগেড-৫ এর একজন কর্নেল জানিয়েছেন, কারেন রাজ্যের মুতরাও জেলায় সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩৫০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেএনএলএ বাহিনী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অন্তত তিনটি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে। আক্রমণের ফলে সেনাবাহিনী তিনটি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গেছে।

মিয়ানমারে গত বছরের নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন অং সান সু চির দল এনএলডি বিপুল ভোটে জয় পায়। তবে দেশটির সেনাবাহিনী নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি-জালিয়াতির অজুহাত গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান করে। তারা সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাতের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। একই সঙ্গে সু চিসহ দেশটির রাজনৈতিক ও গণতন্ত্রপন্থিদের গ্রেফতার করে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে।

সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই দেশটির গণতন্ত্রপন্থিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সেনাশাসনবিরোধী এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮০০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া সাড়ে চার হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছে।

সূত্র: মিয়ানমার নাউ

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ