আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ধূমপান বা ই-সিগারেট ধূমপায়ীদের করোনা ভাইরাস দ্বারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ধূমপান ফুসফুসের প্রতিরোধ ক্রিয়াকে দমন করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদি ধূমপায়ী এবং ই-সিগারেট ব্যবহারকারীরা উভয়েই ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন, যা নতুন ভাইরাসজনিত রোগ হিসেবে কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে আরও মারাত্মক হতে পারে।
যারা ধূমপান করেন, করোনা সংক্রমণে তাদের বাড়াবাড়ি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এমন কথা অনেক দিন ধরেই বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু যারা ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেট খান, তাদের ভয় কতটা?
পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপ এবং আমেরিকায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের মধ্যে যারা সদ্য ধূমপান শুরু করেন, তাদের অনেকেই ই-সিগারেটে আসক্ত। এতে নিকোটিন ফুসফুসে পৌঁছোয় না। ফলে এটি স্বাস্থ্যের অতটাও ক্ষতি করে না বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু বিষয়টি মোটেই তা নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের সিগারেটে তামাক-যুক্ত সিগারেটের তুলনায় ক্ষতি বেশি— এমনই বলেন চিকিৎসকেরা।
কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে? সে ক্ষেত্রেও সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেটে ক্ষতি বেশি। এমনটাই বলছে সমীক্ষা। ‘জার্নাল অব অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ’ নামক পত্রিকায় ছাপা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, যে সব কমবয়সীরা তামাক-যুক্ত সিগারেট খান, তাদের থেকে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের করোনা সংক্রমণ এবং তার বাড়াবাড়ি বেশি মাত্রায় হয়। শুধু তাই নয়, এই সমীক্ষাকারী দলের সদস্য চিকিৎসক ফারিবা রেজায়ি জানিয়েছেন, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের পরবর্তী সময়ে ফুসফুসের সমস্যা আরও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
চিকিৎসকের মতে, সাধারণ সিগারেটে নিকোটিন থাকে। সেটি ফুসফুসে গিয়ে করোনার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু ই-সিগারেট থেকে ভিটামিন ই-এর বাষ্প তৈরি হয়। ভিটামিন ই এমনিতে শরীরের উপকারে লাগলেও তার বাষ্প ফুসফুসের ক্ষতি করে। আর এটিই বিপদ ডেকে আনছে।
তা ছাড়া প্রচলিত ধারণা হল, ইলেকট্রনিক সিগারেটে ক্ষতি কম। ফলে যারা এগুলো ব্যবহার করেন, তারা মাত্রাছাড়া ভাবেই এই সিগারেট মুখে নেন। বারবার মাস্ক সরানো, মুখে হাত দেওয়ার ফলেও সংক্রমণ বাড়ে। এমনটাই বলা হয়েছে রিপোর্টে।
-এএ