আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মমতা। সাধারণ রাজ্যবাসীর মনের কথা উঠে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না। বাংলা, বাংলাই থাকবে।’
পশ্চিমবঙ্গে হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজয় হয়েছে বিজেপির। রাজ্যের নিরিখে একমাত্র উত্তরবঙ্গে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা করেছে মোদি বাহিনীর। ভোটের পর প্রথমে বাংলায় হিংসা বাড়ছে অভিযোগ তুলে মোদি সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দ্বিতীয় পদক্ষেপই হচ্ছে, উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার করার দাবি। তার বিরুদ্ধেই কড়া গলায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির দিকে একরকম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মমতা বলেছেন, কোনও রকম ডিভাইড অ্যান্ড রুল আমরা করতে দেব না। বাংলাকে পরাধীন করতে দেব না। বাংলার মানুষকে পরাধীন করতে দেব না। বাংলাকে ভাগ করতে চাওয়ার উপযুক্ত জবাব দেবে বাংলার মানুষ। কিছুদিন আগে ভোটে হেরেও ওদের শিক্ষা হয়নি।
উত্তরবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরও একই বক্তব্য, বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বিজেপি। তীব্র জনরোষের মুখেও বিজেপি নেতারা অবশ্য নির্বিকার।
সম্প্রতি বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সহ-সভাপতি অলোক চক্রবর্তী এদিন বলেছেন, উত্তরবঙ্গে নিরাপত্তার অভাব চরম। ঢালাও অনুপ্রবেশ হচ্ছে। সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কমতি রয়েছে। তাই আমরা চাই উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করব।
মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সাফ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দরুন বাংলার সমর্থন ছাড়া ওরা কিছুই করতে পারবে না। বিজেপি যদি মনে করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার বিক্রি করে দেব, পারবে না। এতে নিশ্চয়ই ওদের কেন্দ্রের নেতাদের ইন্ধন রয়েছে। ওদের বলব এসব করবার চেষ্টা করবেন না।
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি আসলে বাংলাকে অশান্ত করতে চায়। ভোটের আগে থেকেই সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মানুষ ওদের স্বেচ্ছাচারিতার জবাব দেবে। কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, অনেকদিন ধরেই বিজেপি এই খেলার চেষ্টা করছে। কখনো দার্জিলিং এর গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সহমত পোষণ, কখনও কোচবিহারের কামতাপুরী রাজ্য। এবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আসলে ওদের কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। কেবল মানুষকে খেপানোর চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ তা হতে দেবেন না।
-এটি