আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের ক্ষমতায় পরিবর্তনের কারণে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ফিলিস্তিনি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে বিন্দুমাত্র পিছু হটবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
রোববার বিরোধী নেতা নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে প্রতিরোধ সংগঠনটি।
হামাসের অন্যতম নেতা ইসমাইল রিদওয়ান বলেন, ইসরায়েলের ক্ষমতায় যে ব্যক্তিই আসুক তাকে সবার আগে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। নাফতালি বেনেটকে জানতে হবে বন্দি বিনিময়ের সঙ্গে গাজা উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার বা এই উপত্যকার পুনর্গঠনের কোনো সম্পর্ক নেই।
রোববার রাতে নতুন জোট নেসেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর কট্টর নেতানিয়াহুর বিদায় নিশ্চিত হয়। জোটের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পদে বেনেট এসেছেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ এক যুগ পর ইসরায়েলে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলো।
ইসরায়েলের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এখন দুটো প্রশ্ন সামনে চলে আসছে— নানা মত ও পথের সমন্বয়ে এই কোয়ালিশন আদৌ কতদিন টিকবে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংকট নিয়ে নতুন এই সরকারের অবস্থান কী হবে?
নাফতালি বেনেটের রাজনৈতিক আদর্শ, তার বিশ্বাস, ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে তার অতীতের বক্তব্য-বিবৃতি বিবেচনা করলে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ আপাতদৃষ্টিতে নেই।
৪৯ বছরের নাফতালি বেনেট একসময় নেতানিয়াহুর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে দুবছর তিনি নেতানিয়াহুর চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে অবশ্য তার সঙ্গে নেতানিয়াহুর মনোমালিন্য তৈরি হয় এবং লিকুদ পার্টি থেকে বেরিয়ে তিনি কট্টর ইহুদি দল 'জিউয়িশ হোম' পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০১৩ সালে প্রথম এমপি হিসাবে নির্বাচিত হন।
কট্টর ডানপন্থি আদর্শ নিয়ে তার কোনো রাখঢাক নেই। বিভিন্ন সময় বড়াই করে তিনি বলেছেন নেতানিয়াহুর চেয়েও তিনি বেশি ডানপন্থি। অতিধার্মিক ইহুদিদের মতো অধিকাংশ সময়ে মাথায় কিপা (এক ধরনের টুপি) পরে থাকেন। উদারপন্থি ইহুদিদের সুযোগ পেলেই উপহাস করেন।
বলতে গেলে বেনেট ইহুদি জাতীয়তাবাদ এবং জাত্যভিমানের এক প্রতীক।
এনটি