আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য বেলজিয়ামে উৎপাদিত জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ছয়টি টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ টিকার অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
দেশে এ পর্যন্ত যতগুলো টিকার অনুমোদন পেয়েছে, সবই দুই ডোজের। অর্থাৎ এক ডোজ নেওয়ার কিছুদিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। কিন্তু জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা এক ডোজের। অর্থাৎ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এক ডোজই যথেষ্ট। তা ছাড়া এ টিকা দামেও তুলনামূলক সস্তা, সংরক্ষণেও সুবিধা আছে।
জনসনের টিকা ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছে, জ্যানসেন-সিলাগ ইন্টারন্যাশনাল এনভি, বেলজিয়ামের উৎপাদিত কোভিড-১৯ এর টিকা জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রশাসনের অধিদফতরে আবেদন করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস মূল্যায়ন করে আজ থেকে টিকাটি জরুরি ভিত্তিতে (ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন) ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশে এই টিকাটির স্থানীয় এজেন্ট হচ্ছে এমএনসি অ্যান্ড এইচ, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
গত ১২ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায় ভ্যাকসিনটি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও ১১ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি ব্যবহারের জন্য জনসনের টিকার অনুমোদন দেয়। ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর এবং তার ওপরের বয়সের ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য।
-এটি