আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আমাদের যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে সেটিও কিন্তু সংক্রমণ অনেক কম থাকার একটা বড় কারণ। বিশ্বের যেখানেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে সেখানেই সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। আমরা চাই, যদিও আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটছে, অনেক কষ্ট হচ্ছে, অভিভাবকদের কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে যত ধরনের বিকল্প হতে পারে তার সবকিছু নিয়ে কাজ করছি। কাজেই আমাদের শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ আমাদের সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলিয়া মাদরাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে সেটিও কিন্তু সংক্রমণ অনেক কম থাকার একটা বড় কারণ। বিশ্বের যেখানেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে সেখানেই সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। আমরা চাই, যদিও আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটছে, অনেক কষ্ট হচ্ছে, অভিভাবকদের কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে যত ধরনের বিকল্প হতে পারে তার সবকিছু নিয়ে কাজ করছি। কাজেই আমাদের শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ আমাদের সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কী করে বলব বলেন। আমাদের কারো পক্ষে বলা সম্ভব না। আমরা আশা করেছিলাম, মার্চ মাসে খুলে দেব। প্রতিদিন সিনারিও চেঞ্জ হচ্ছে। লকডাউন মানলে সংক্রমণ কমবে। আমরা তো মানছি না, আর মানছি না বলেই বার বার খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি এই পরিস্থিতি কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়? সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশের বেশি। গত বছরের শেষে ও এ বছরের শুরুতে সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে পেরেছিলাম। করোনা সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বগামী। যেখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ শতাংশের নিচে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বলব পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাবেন না। পরীক্ষা যদি না হয় তাহলে পরের ক্লাসে তো উঠতে হবে। তাই পড়া ছেড়ে দিলে হবে না।
এ ছাড়া চলতি বছরে এএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি-না করোনা পরিস্থিতি দেখে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী।
এমডব্লিউ/