আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় ছয়মাস হলো মরক্কোতে নিয়োগ পেয়েছেন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ডেভিড গভরিন। কিন্তু এখনও হোটেলে থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন তিনি। কারণ, রাজধানী রাবাতের কোনো বাসিন্দা ইসরায়েলি দূতাবাসের জন্য বাসা ভাড়া দিচ্ছে না।
কাতারভিত্তিক আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত বছর চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে মরক্কো। এরপর ইসরায়েল ডেভিড গভরিনকে মরক্কো মিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়।
মরক্কো এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরক্কোর রাজধানী রাবাতের মানুষ ইসরায়েলি দূতের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিচ্ছে না।
গত সপ্তাহ মরক্কোর স্থানীয় গণমাধ্যম আসাফিয়ার খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি দূতের বাসস্থান খোঁজার জন্য ভাড়া করা এজেন্সি মরক্কোর মনোরম আবাসিক এলাকায় একটি উপযুক্ত বাসা খুঁজে পান। ফ্লাটটির প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা থাকায় ইসরায়েলি দূত ডেভিড গভরিনও বাসাটি পছন্দ করেন। কিন্তু সমস্যা হলো-ভবনটির মালিক যখন জানতে পারেন ইসরায়েলি দূতের জন্য বাসা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, তখন তিনি বাসা ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান। খবরে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় আরেকটি আবাসিক ভবনেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মরক্কোতে নিয়োগ পাওয়ার পূর্বে ডেভিড গভরিন মিশরের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। দূত হিসেবে আরব মুসলিম দেশ মরক্কোতে নিয়োগ পাওয়ার ছয়মাস ধরে তিনি রাবাতের একটি হোটেলে থাকছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় গত বছরে চতুর্থ মুসলিম দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় মরক্কো। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিতর্কিত পশ্চিম সাহারা অঞ্চলে মরক্কোর দাবিকে স্বীকৃতি দেয়।
এমডব্লিউ/