রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

ওহীর শাব্দিক অর্থ ও তার প্রকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি আব্দুর রহমান: মানুষের জীবন সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলদের কাছে বিধান পাঠিয়েছেন। নবী-রাসুলরা সে জীবন বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। وحي-এর শব্দিক অর্থ: গোপনে দ্রুত ইঙ্গিত করা’। আল্লাহর পক্ষ হতে জিবরাঈল আ. এর মাধ্যেমে হুজুর সা. এর নিকট যে আহকাম নাযিল হয়েছে, তাকে ওহী বলা হয়।

وحي দুই প্রকার। প্রথম প্রকার: প্রত্যক্ষ ওহী; যার নাম ‘কিতাবুল্লাহ’ বা ‘আল-কুরআন’। এর ভাব, ভাষা উভয়ই মহান আল্লাহর। রাসূলুল্লাহ সা. তা হুবহু প্রকাশ করেছেন।

দ্বিতীয় প্রকার: পরোক্ষ ওহী যার নাম ‘سنة’ বা ‘حديث’। এর ভাব আল্লাহর, তবে নবী সা. তা নিজের ভাষায়, নিজের কথায়, নিজের কাজ ও সম্মতির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। প্রথম প্রকারের ওহী রাসূলুল্লাহ সা.-এর উপর সরাসরি নাযিল হতো এবং তাঁর কাছে উপস্থিত লোকজন তা উপলব্ধি করতে পারতো। কিন্তু দ্বিতীয় প্রকারের ওহী তাঁর উপর প্রচ্ছন্নভাবে নাযিল হতো এবং অন্যরা তা উপলব্ধি করতে পারতো না।

আল্লাহ তা’আলা কুরআনুল কারীমে মানব জাতিকে একটি আদর্শ অনুসরণের ও বিধি-বিধান পালনের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু এর বিস্তারিত বিবরণ দান করেননি। এর ভার রাসূলুল্লাহ সা.- এর উপর ন্যস্ত করেছেন। তিনি নিজের কথা-কাজ ও আচার-আচরনের মাধ্যমে কুরআনে কারীমের আদর্শ ও বিধান বাস্তবায়নের পন্থা ও নিয়ম কানূন বলে দিয়েছেন। কুরআনে কারীমকে কেন্দ্র করেই তিনি ইসলামের এক পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধান পেশ করেছেন। অন্য কথায়, কুরআন মজীদের শিক্ষা ও নির্দেশসমূহ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার জন্য নবী সা. যে পন্থা অবলম্বন করেছেন, তাই হচ্ছে হাদীস।

 

হাদীসও যে ওহীর সূত্রে প্রাপ্ত তার প্রমান:

হাদীসও যে ওহীর সূত্রে প্রাপ্ত এবং তা শরীআ‘তের অন্যতম উৎস কুরআনুল কারীম ও মহানবী সা.-এর বাণীর মধ্যেই তার প্রমাণ বিদ্যমান। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবী সা. সম্পর্কে বলেন:

وَمَا يَنطِقُ عَنِ الهوَىٰ .إِن هُوَ إِلَّا وَحيٌ يُوحيٰ

অর্থ: “আর তিনি (নবী) মনগড়া কথা বলেন না, এ তো ওহী যা তাঁর প্রতি নাযিল করা হয়”। (সূরা নাজম : ৩-৪)

وَلَو تَقَوَّلَ عَلَينَا بَعضَ الأَقَأويلِ .لَأَخَذنَا مِنهُ بِاليَمِينِ .ثُمَّ لَقَطَعنَا مِنهُ الوَتِينَ

অর্থ: “তিনি (নবী) যদি আমার নামে কিছু রচনা করতে চেষ্টা করতেন আমি অবশ্যই তাঁর ডান হাত ধরে ফেলতাম এবং তাঁর জীবনধমনী কেটে দিতাম ”। (৬৯ : ৪৪-৪৫)

وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُم عَنهُ فَانتَهُوا

অর্থ: “রাসূল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।” (সূরা হাশর : আয়াত : ৭)

লেখক: সিনিয়র মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া জহিরুদ্দিন আহমদ মাদরাসা মানিকনগর, ঢাকা।

ওআই/আব্দুল্লাহ আফফান


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ