আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পৃথক ২৩টি স্থানে অস্থায়ী পশু হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় হাট বসবে ১৩টি, ডিএসসিসি এলাকায় বসবে ১০টি। তবে করোনা মহামারি পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে হাটের সংখ্যা কমতেও পারে।
এদিকে গত ১৯ মে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কুরবানির পশুর হাটের ইজারা চূড়ান্ত করতে দরপত্র আহ্বান করেছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত এ ১০টি অস্থায়ী পশু হাটের সরকারি ইজারা মূল্য নিম্মরুপ।
১. ৩৪ লাখ ১ হাজার ৪৬৪ টাকায় উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা।
২. এক কোটি ৫৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৭ টাকায় ভাটারা (সাঈদনগর) পশুর হাট।
৩. ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ২৫০ টাকায় কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা।
৪. ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজ-সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা; ৫. চার লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকায় উত্তরখান মৈনারটেক শহীদনগর হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা।
৬. ৪২ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় ভাষানটেক রাস্তার নির্মাণাধীন অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত অংশ এবং পাশের খালি জায়গা।
৭. এক কোটি আট লাখ ৩১ হাজার ৪৩২ টাকায় বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই, সেকশন-৩ এর খালি জায়গা।
৮. তিন কোটি ৮১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৪ টাকায় উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ এবং ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গােলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা।
৯. এক কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ টাকায় মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা।
১০. ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ ইজারা দেয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারি মূল্যের সঙ্গে ইজারাদারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ শিডিউল মূল্য এবং পরিচ্ছন্ন ফি দিতে হবে। ৯ জুন দরপত্র বিক্রির শেষ দিন। পরদিন ১০ জুন দুপুর ১টায় দরপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হবে। ওই দিন বিকেল ৩টায় প্রথম দরপত্র বাক্স ও খাম খোলা হবে। তখন সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাট ইজারা দেয়া হবে। ঈদের দিনসহ এই হাট পাঁচ দিন পরিচালিত হবে।
জানা গেছে, করোনা মহামারিতে পশু হাট পরিচালনায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সরকারের সব ধরনের দিক-নির্দেশনা পালন করা হবে। হাট ইজারার বরাদ্দপত্রের শর্তে তা উল্লেখ করা দেয়া হবে। পরে ডিএনসিসি তা পর্যবেক্ষণও করবে।
এমডব্লিউ/