আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে ৫০তম বাজেট প্রস্তাব পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদে দেশের ১৫তম অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এটি তৃতীয় বাজেট।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
এর আগে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার ওই বিশেষ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
করোনাকালের দ্বিতীয় এই বাজেট অধিবেশন হচ্ছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে। করোনার ধাক্কা ধাক্কা সামলাতে এবারের বাজেটে আয়ের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে সরকার। সে জন্য বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৬ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বেশি।
চলতি অর্থবছরে এ আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। যদিও বাজেটে মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৩ কোটি টাকা। আয়ের মধ্যে রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান নেওয়া হবে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের অধিবেশনে, অর্থমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের সঙ্গে থ্রিডি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে করোনাকালীন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নানা মাইলফলক।
এমডব্লিউ/