আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইউরো-এশিয়ার দেশ তুরস্ক সরকারকে বাংলাদেশের সঙ্গে দুইটি চুক্তি স্বাক্ষরের তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।
তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ স্বাক্ষর বিবেচনার অনুরোধ করেন। পাশাপাশি দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এর জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ১১ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, তুর্কি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে যথেষ্ট বিনিয়োগে আগ্রহী।
বুধবার মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে সৌজন্য স্বাক্ষাতে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই'র নব-নির্বাচিত সভাপতি জসিম উদ্দিন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান। এতে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম.এ. মোমেন, আমিন হেলালী, হাবিব উল্লাহ ডন, সালাউদ্দিন আলমগীর, এম. এ. রাজ্জাক খান, পরিচালক আবু নাসের, বজলুর রহমান প্রমুখ।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তুরস্ক ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই সম্ভাব্য বিভিন্ন পণ্য রয়েছে যেগুলোর ভালো চাহিদা রয়েছে দুটি দেশেই। তুলনামূলক সুবিধা ব্যবহার করে দুই দেশের আমদানি-রফতানি প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্য সহজ করা যাবে।
এসময় তিনি বিভিন্ন দেশের সাথে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য এবং তাদের কর্তৃপক্ষের দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন যেখানে বাংলাদেশ তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তাব করতে পারে। তুরস্ক বাংলাদেশের নির্মাণ ও পর্যটন খাতের দক্ষতা শেয়ার করে পর্যটন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আগামীতে তুরস্ক-বাংলাদেশ যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে শুল্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তুর্কি ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশে যথেষ্ট বিনিয়োগে আগ্রহী। যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ হতে পারে বাংলাদেশের নির্মাণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম, ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসা পর্যটন, চিকিৎসা সরঞ্জাম, আইসিটি, সফট্ওয়্যার ডেভলপমেন্ট, স্টার্টআপ ডেভলপমেন্ট, চামড়া, পাটের মতো অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে। আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাত ও ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তুর্কি-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সহায়তায় বিজিনেস টু বিজিনেস সভা আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে, উভয়পক্ষই বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সফর বিনিময়ের পরামর্শ দেন।
এনটি