আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে ৫০তম বাজেট প্রস্তাব ঘোষণা হয়েছে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (০৩ জুন)। ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরের বাজেটের সাথে নয়া বাজেটের আকারের পার্থক্য হাজার কোটি টাকা। অতীতের ধারাবহিকতায় এ বাজেটেও থাকবে বড় অংকের ঘাটতি। তবে এতে গুরুত্ব পাবে করোনা সংকটে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার বিষয়টি।
‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ এই শিরোনামে যে বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সেই বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটেও বিভিন্ন পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক কমার কারণে অনেক পণ্যের দাম কমতে পারে।
বাজেটের প্রভাবে দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের
করোনা মহামারির কথা চিন্তা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের ওপর কর আরোপ করা হচ্ছে না। এর ফলে চাল, ডাল, চিনি, লবণ, দেশে উৎপাদিত টুথপেস্ট, পাউরুটি, সাবান, বোতলজাত পানি, ফলের জুস, মসলা ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে না।
আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক কমার কারণে মাইক্রোবাস ও হাউব্রিড গাড়ির দাম কমতে পারে। একই কারণে দাম কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির সরঞ্জামের। দেশে উৎপাদিত এবং বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ পণ্যের দাম নাগালে রাখতে দেশি শিল্পে ব্যাপক হারে রাজস্ব ছাড় দেয়া হচ্ছে। এ কারণে আমদানি করা পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেলের চেয়ে দেশে সংযোজিত মোটরসাইকেলের দাম কমবে।
করোনা মোকাবেলায় সব ধরনের কোভিড সুরক্ষা পণ্যে ভ্যাট, ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিটের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসা এবং পিপিই ও সব ধরনের মাস্ক উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে কমছে এসব পণ্যের দাম।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যমান ২২টির পাশাপাশি আইটি খাতের আরও নতুন পাঁচটি সেবাকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেবাগুলো হচ্ছে- ক্লাউড সার্ভিস, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, ই-বুক পাবলিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস ও ফ্রিল্যান্সিং। ফলে এসব সেক্টর থেকে কম মূল্যে সেবা মিলতে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল, সিমেন্ট ও স্টিল শিল্পে আগাম কর প্রত্যাহার হচ্ছে। ফলে দাম কমার তালিকায় যুক্ত হতে পারে এসব পণ্য। দেশীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্পের (এসি-ফ্রিজ) ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা অব্যাহত থাকছে। ফলে দেশে উৎপাদিত এসব পণ্য কম দামে মিলতে পারে।
এমডব্লিউ/