আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস-প্রধান ‘মমতা ব্যানার্জিকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় ভারত’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের ট্রেন্ডিং শুরু হয়েছে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক তো বটেই বহু নেটিজেনও এ রকম দাবি করছেন। কেউ লিখেছেন, ‘বাংলার মেয়েকেই চায় ভারত’। কেউ লিখেছেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকারকে উপযুক্ত জবাব দিতে পারবেন একমাত্র মমতাই’।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা কি উত্তর প্রদেশের বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন? বিধানসভার নির্বাচন চলাকালে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রের এ রকম একটি টুইট ঘিরে এমন জল্পনা ছড়িয়েছিল।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভার নির্বাচনেও বিভিন্ন সময়ে মিছিল ও জনসভায় মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল ‘এক পায়ে বাংলা দখল করব আর দুই পায়ে দিল্লি’। তবে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে মমতা বারাণসী থেকে দাঁড়ান বা না-ই দাঁড়ান, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে দেখতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নাম তুলে ধরার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন নেটিজেনরা।
সোমবার টুইটারে ট্রেন্ডিং শুরু হয় ‘#বেঙ্গলি প্রাইম মিনিস্টার’। সুদীপ রাহা নামে এক যুবক লিখেছেন ‘সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নবজাগরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলা সব সময়ই পরিচিত। আরও একবার দেশকে পথ দেখাবে। দেশবাসী পরবর্তী #বেঙ্গলি প্রাইম মিনিস্টার-এর জন্য প্রস্তুত হোন।’
রূপ চক্রবর্তী নামে একজন লিখেছেন, ‘গোটা ভারতে মমতা ব্যানার্জিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি অত্যাচারী কেন্দ্রীয় সরকারকে শিক্ষা দিতে পারেন। #বেঙ্গলি প্রাইম মিনিস্টার।’
মৌমিকা নামে এক নারী লিখেছেন, ‘আগামী দিনে জনাদেশ আসবে যে ভারত বাঙালি মেয়েকেই চায়। বাংলার বাঘিনী দিল্লির পথে যাত্রা করেছেন। #বেঙ্গলি প্রাইম মিনিস্টার, দিদি এবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
বাঙালি রাষ্ট্রপতি দেখেছে ভারত যার নাম (প্রয়াত) প্রণব মুখার্জি। ১৯৯৬ সালে জ্যোতি বসুর সামনে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এলেও তাঁর দল সিপিআইএম কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার সরকারে যোগ না দেওয়ায় তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। পরে ওই ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ বলে সম্বোধিত করেছিলেন জ্যোতি বসু। স্বাভাবিকভাবেই মমতার এই কেন্দ্রবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ২০২৪ সালের আগে টুইটারে এই ট্রেন্ডিং বাস্তবায়ন হয় কি না তা অবশ্য সময়ই বলবে।
এমডব্লিউ/