আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনায় মৃত্যু হয়েছে ভেবে ১২ ঘণ্টা বাড়ির মধ্যে পড়েছিল এক হিন্দু বৃদ্ধার লাশ। কোনো আত্মীয় বা প্রতিবেশী এগিয়ে না আসায় পাশের গ্রামের গ্রামের মুসলমানরা এসে ওই বৃদ্ধার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
গতকাল মঙ্গলবার ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সুবর্ণপুর দাসপাড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। বুধবার এ খবর জানিয়েছে কলকাতার সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
খবরে বলা হয়, দেগঙ্গা থানায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার রাম দাসের মা বিমলা দাস (৬৫) গত ১৫ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। বাড়িতে রেখে তার চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।
সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর পরে রাম, তার বোন ও বাবা মিলে আত্মীয়, প্রতিবেশীদের কাছে খবর দেন। কিন্তু ওই বৃদ্ধার করোনায় মৃত্যু হয়েছে, এই সন্দেহে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী কেউ এগিয়ে আসেননি।
অবশেষে পাশের পাড়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন এগিয়ে আসেন বৃদ্ধার মৃতদেহ সৎকার করতে। বৃদ্ধার মৃতদেহকে খাটিয়ায় করে নিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তারা। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
বৃদ্ধার ছেলে রাম বলেন, আমার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, কেউ এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাই মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পেরেছি। পাশাপাশি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মিলন দেবনাথ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ যেভাবে সম্প্রীতির নজির তৈরি গড়লেন, তা দেগঙ্গার মানুষ সারা জীবন মনে রাখবে।
-এটি