আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত উপত্যকাটির পুনর্গঠনের সঙ্গে ইসরায়েলের বন্দি বিনিময়ের কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির নেতারা মিশরের গোয়েন্দা সংস্থা জিআইএস’র প্রধান আব্বাস কামেলকে এ কথা জানিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধচলাকালীন সময়ে হামাসের হাতে ইসরায়েলের দুই বেসামরিক কর্মকর্তা ‘আভেরা মেনজিসতু ও হিশাম আল সাঈদ’ আঁটক হয়েছেন। এ দুজন এখনো হামাসের হাতে বন্দি। আর ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের হামলার সময় দেশটির হাদার গোল্ডিন ও ওরন শাউল নামের নিহত দুই সৈনিকের মরদেহ হামাসের কাছে রয়েছে। এরপরই বন্দি মিনিময়ের এ আলোচনা সামনে আসে।
গতকাল সোমবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি সূত্র দাবি করেছে যে মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে।
গত রোববার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েল থেকে গাজায় আসেন কামেল। ২০১৮ সালে মিশরের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম গাজা সফর।
গাজায় পৌঁছেই তিনি হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। চলমান যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সম্ভাব্য বন্দি বিনিময় ও গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি ইতোমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গত রোববার মিশরের গোয়েন্দা প্রধানকে বলেছেন, গাজা উপত্যকা সংক্রান্ত যেকোনো পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার আগে রামাল্লায় ফিলিস্তিন সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
এমডব্লিউ/