আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দিনগত মধ্যরাতে বৃষ্টি হলেও থেমে গিয়ে আবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয়। এরপর টানা বৃষ্টিতে অফিসগামী যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তেমনি রাজধানীর অনেক অলিগলিতে ও রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে যারা অফিসে বা কাজে যোগ দিতে বের হয়েছেন, তারা পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে। বৃষ্টির কারণে সড়কে গণপরিবহনও অনেক কম দেখা গেছে।
রাসেল নামে এক অফিসগামী যাত্রী বলেন, মালিবাগের পূর্ব নয়াটোলার বাসা থেকে বৃষ্টির মধ্যেই বের হই। সকাল ৮টায় অফিস। বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা না পেয়ে কিছু পথ হেঁটে বাসে উঠলাম। বাস থেকে মাজার রোডের মোড় নামলাম। এরপর রিকশা করে অফিসে যাচ্ছি। কিন্তু ভারী বৃষ্টির কারণে পুরো ভিজে গেছি।
সামান্য বৃষ্টিতেই মতিঝিল, গুলিস্তান, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, মালিবাগ, রামপুরা, পুরান ঢাকা, খিলক্ষেতসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
মিরপুর ১০ নম্বরে থাকা অফিসগামী আবু জাফর বলেন, মতিঝিল গিয়ে অফিস করতে হবে। কীভাবে যাব? কোনো গাড়ি পাচ্ছি না।
ফার্মগেটে জাফর নামে এক পথচারী বলেন, প্রতিবছরই বৃষ্টি হলে রাজধানীতে এমন জলাবদ্ধতা হয়। সাধারণ মানুষ পড়ে ভোগান্তিতে। কিন্তু এই জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। যার মাশুল দিতে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের। যারা আজ কাজে বের হয়েছেন তাদের প্রত্যেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অপরদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (১ জুন) ভোর ৬টার আগে ২৪ ঘণ্টার ঢাকায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টি এবং সেইসঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এনটি