আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাখাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্র থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষাকে বাঁচাতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসরাইলের সাথে গোপন সম্পর্ক স্থাপন চেষ্টা করে সরকার করে নিজেদেরকে আখের রক্ষায় ব্যস্ত। ওলামায়ে কেরামকে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ও নির্যাতন সরকারের জন্য অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। গণবিরোধী বাজেট ও শিক্ষাখাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্র থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ও মাওলান আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শরীয়াহ বিষয়ক উপদেষ্টা মুফতী ওমর ফারুক সন্ধিপী, শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আফম খালিদ হোসেন, তথ্য উপদেষ্টা মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, দাওয়াহ বিষয়ক উপদেষ্টা মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, নিরাপত্তা উপদেষ্টা কমোডর অব. ড. শফিউল্লাহ, উপদেষ্টা মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা খোবায়েব বিন তৈয়্যব. আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ড. মাওলানা বেলাল নূর আজিজী, মাওলানা সৈয়দ মুমতাজুল করীম মোস্তাক, আইন উপদেষ্টা এডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী সরকার, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সৈয়দ আলী মোস্তফা, মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা এডভোকেট একেএম এরফান খান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমনিুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টাবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন এবং দেশের ক্রান্তিকালে যে কোন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মতামত দেন।
পীর সাহেব চরমোনাই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা সফলে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। ২ জুন ঢাকায় মানববন্ধন, ৩ জুন দেশব্যাপী প্রতিটি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন, পাসর্পোট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ বাদ দেয়ার প্রতিবাদ ও তা সংযোজনের দাবীতে ৫ জুন ঢাকায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গে থেকে বিক্ষোভ মিছিল।
পীর সাহেব চরমোনাই আটককৃত নিরপরাধ সকল ওলামায়ে কেরাম এবং তুচ্ছ কারণে বা হয়রানীমূলক মামলায় আটককৃত অন্যান্য সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ইসরাইলের সাম্প্রতিক বর্বরতার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ, জাতিসংঘ অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন পুন:ব্যক্ত করে ইসরাইলের নিন্দা করতে হবে। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্তকরণ কল্পে বহুজাতিক মুসলিম সেনাবাহিনী গঠনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ৫০ বছরের ঐতিহ্য ছুড়ে ফেলে “একসেপ্ট ইসরাইল” শব্দদ্বয় বাদ দেয়া অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় “একসেপ্ট ইজরাইল” শব্দদ্বয় কোন বাধা নয়। এর পক্ষে অনেক যুক্তি থাকলেও সহজ অর্থে কেবল এতটুকু উল্লেখই যথেষ্ট হবে যে, এই শব্দ দুটিসহই মালয়েশিয়ার পাসপোর্ট বিশ্বের ১৯তম শক্তিশালী পাসপোর্ট।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবকিছুতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। লাগাতার ১৫ মাস ধরে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। মাঝখানে কিছুদিন কওমি মাদরাসা চালু থাকলেও গত এপ্রিল থেকে আবারো তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
-এটি