আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে এসেও ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সম্ভাব্য জোট সরকারকে ইসরায়েলের ‘নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
নেতানিয়াহুর সরকার হটাতে ইসরায়েলের বিরোধী দলগুলো চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা হারেৎজ। তবে বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
প্রস্তাবিত জোট সরকারে যোগ না দিতে ডানপন্থী রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রবিবার নেতানিয়াহু বলেন, ‘বামপন্থী সরকার গঠন করবেন না। এ ধরনের সরকার ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্য একটি হুমকি।’
ইসরায়েলের মধ্যপন্থী দল ইয়েস আতিদের নেতা ইয়ার লাপিড জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে উগ্রপন্থী নেতা নাফতালি বেনেটের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে চলেছেন।
এখন জোট সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন জোগাড়ে লাপিডের হাতে আছে আর মাত্র দুদিন। শেষ সময়ে এসে উগ্র জাতীয়তাবাদী বেনেটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন তিনি।
সম্ভাব্য এই চুক্তি অনুযায়ী ১২০ আসনের ইসরায়েলি পার্লামেন্টে মাত্র ছয় আসন নিয়েই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নাফতালি বেনেট। প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন তিনি। বাকি দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন ইয়ার লাপিড।
গত মার্চে অনুষ্ঠিত ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচনে আসনের দিক দিয়ে নেতানিয়াহুর ডানপন্থী দল লিকুদ পার্টির পরেই রয়েছে লাপিডের দল ইয়েস আতিদ। এটি ছিল দুই বছরের মধ্যে চতুর্থ নির্বাচন।
লাপিডকে সরকার গঠনের জন্য ২৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের ১১ দিনের হামলায় ওই প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়। ওই হামলার জের ধরে লাপিডের জোট যাওয়ার আলোচনা থেকে বেরিয়ে যায় ইউনাইটেড আরব লিস্ট।
নতুন জোট সরকার গঠন করতে সক্ষম হলে ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ১২ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটবে। ৭১ বছর বয়সী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় বিচার চলছে।
এনটি