আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার আগপর্যন্ত চলমান করোনা মহামারি শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুগে। তিনি বলেন, ‘দ্রুতগতিতে টিকা দেয়ার কাজ এগিয়ে নিতে হবে।’
এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যানস ক্লুগে এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার তার এ সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। ক্লুগে বলেন, মহামারি দূর করতে মানুষকে টিকা দেয়া জরুরি। তবে ইউরোপের দেশগুলোয় টিকা দেয়ার গতি ‘খুব ধীর’।
মহামারির লাগাম টানার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনার বিভিন্ন ধরনই প্রধান উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করেন হ্যানস ক্লুগে। তিনি বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে বলা যায় করোনার যুক্তরাজ্যের ধরনের চেয়ে ভারতীয় ধরন বেশি সংক্রামক। যুক্তরাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া ধরনটিও করোনার আগের ধরনগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক।’
অতিসংক্রামক এসব ধরন করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে ‘দ্রুততার’ বিকল্প নেই। এমনটাই মনে করেন হ্যানস ক্লুগে। তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএইচও যখন করোনা সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করল, তখনো অনেক দেশ এটা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বেশি সময় নিয়েছে। আমরা মূল্যবান সময় নষ্ট করেছি।’
হ্যানস ক্লুগের মতে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হলো গতি। টিকা নিয়ে সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। অনেক দেশ ও অঞ্চলে টিকা দেয়ার হার বেশ কম। মহামারি নিয়ন্ত্রণে দ্রুতগতিতে আরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে।’
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ৫৩টি দেশ ও অঞ্চলের মাত্র ২৬ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোয় ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার অন্তত এক ডোজ নিয়েছেন। প্রত্যাশার তুলনায় এ হার বেশ কম।
-এএ